আদর
তড়িৎ রায় চৌধুরী ##
সে এক তুমুল শ্রাবনিক নীরবতা
শ্রমরস জানে তীব্র সে আকুলতা
আর্শিনগরী বসতি মম বাসনা
সকলই তুচ্ছ সুর হয়ে যায় রসনা
এমনি মাতাল জলজ নীলাম্বরী
ছুঁয়ে ফেলে সুখে আগুনের শিখীপাখা
হৃদি ভেসে যায় শরীরের স্রোতে কবি
ফিরে ফিরে আসে চিরপুরাতন পাওয়া
রোমবালিকেরা আলপনা দেয় দেহে
রোমবালকেরা সে মাটিতে ধারাস্নান
কে স্রোত চিনেছে বলো নদীমাটি কার
বহুরূপে আজো ফেরে সম্মুখে তার
উদাসী হাওয়ায় ঝরে ফুলদল মালা
পত্রমোচনও অতিশয় সাবলীল
সেতু বয়ে চলে এপার ওপার খেলা
মাঝে চিৎ হয়ে থাকে আদরের ঝিল।