আমরা অথবা কেউ নই
হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্বতপুর, পূর্ব বর্ধমান ##
আমার চোখের নিচ দিয়ে যেটুকু সরলরেখা আঁকা আছে গভীর আলোয়, তার দিব্যিটুকু দিয়ে তুমি বলো আমরা কেউ কাউকে ভালটালো বাসিইনি কখনো।
মাঠে বসে দিনের পর দিন অর্ঘ্যদা, তুমি, আমি আর শিবে কাউন্টার নিয়েছি এমনি এমনি। তারপর হঠাৎ ফোন অফ!
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলে গেলে।
হাতড়ে হাতড়ে তোমার পাড়া, লন, লেন সব খুঁজেছি।
কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি তুমি কেন নেই, কবে আসবে বা আদৌ আসবে কিনা! শাড়ির খুঁট পাকাতে পাকাতে লাস্ট বাসে ডেরায় ফিরেছি, একা আলোর কাছে।
আমার ঘরে যত্ন করে রাখা আছে ক’টা বই, শুকনো ব্যস্ততা আর জং ধরা মনকেমনের গুনগুন।
পৌষমেলায় আর যাইনি এবছর।
ওখানকার ধুলোবালি, বোঝাপড়া সব মনে করিয়ে দেয় তুমি আমায় পলাশ পরিয়েছো খোঁপায় আর গালে দিয়েছো হলুদ সবুজ আর নীলের মখমল।
আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি তোমার না ফিরে আসায় কিংবা ফিরে এলেও বুকে এক রাশ মার্ক্সবাদী আশা নিয়ে ঝুপ করে ট্রেন থেকে নামায়।
আমার আজকাল সত্যি বলতে কি, কষ্ট প্রায় হয় না বললেই চলে।
শুধু মনে হয় এই সব হারানোর দিনেও যদি তুমি আমি, শিবে আর অর্ঘ্যদা একটা ধোঁয়ায় লেগে থাকতে পারতাম…..!