কুহক

রিফাত ফাতিমা তানসি ##


তুমি করেছ মোহাবিষ্ট
বৃহত্তর এ জনপদ, লোকালয়, প্রান্তর
পুকুর- নদীনালা- খালবিল- সাগর;
পত্রমালাকেও, যখন তারা একটার গায়ে একটা পাশাপাশি বাসা বুনেছিল শুয়ে:
কোনো এক কাকডাকা ভোরে তুমি আলতো পরশ মাখিয়ে দেবে হয়তো মহাসাগরের নরম, তুলতুলে গা ছুঁয়ে!

তুমি কি কখনো ঘূর্ণিপাকে শোঁ শোঁ আওয়াজে পাক খাওয়া উন্মাদ বাতাসকে ছুঁতে পেরেছ নিবিড় নিগুঢ় আলিঙ্গনে?
নাকি পেরেছ জড়িয়ে ধরে তাঁকে আপন করে রাখতে প্রণয় বন্ধনে!

পেরেছ কি তোমার প্রিয় রক্তিম বাগিচা থেকে কচি কচি কিছু কুঁড়ি ছিঁড়ে আনতে,
        তোমার প্রাণপ্রিয়ার জন্য!
যা ছিঁড়তে গিয়ে কন্টকে জর্জরিত হয় তোমার জমাট বাঁধা হস্তখানা!
কিংবা তাকে পেতে অচেনা পথ কি ঘুরে ঘুরে হয়েছ হন্য?

নাকি কেবলি সপ্তাহান্তে তুমি দিন শেষ করেছ
         আরো একটি রসকষহীন একঘেয়ে দিন শুরু করবে সে কামনায়..

আচ্ছা,
তোমার কি সন্ধ্যাশেষে এতটুকুনও ক্লান্ত বোধ হয়না,
এতসব কাজকর্মের ফাঁকফোকরে?
নাকি পরিশ্রান্ত তুমি আবারও কাজের আকাশেই ঢুকে পড় একটুখানি অবসরে!

বল, সত্যি ক’রে বল;
হয়না বুঝি!

নাকি নিজেকে প্রতিনিয়ত আড়াল করার স্বভাবখানা
বরাবরের মতোই রয়ে গেছে মজুদ..
যেখানে চাপা কষ্টরা মেঘ সেজে প্রতিনিয়ত উঁকি দেয় লক্ষ-কোটি- অযুত! কুহক;
তুমি কি পারবে সবকিছু একনিমিষে 
ভুলিয়ে দিতে!
তুমি কি পারবে
সবটাই আবার গোড়া থেকে
নূতন ক’রে শুরু করতে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =