ত্রিভঙ্গ
অনিরুদ্ধ সুব্রত ##
নোনা
একদিন ধানক্ষেতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নদী সমুদ্র-জলের তাৎক্ষণিক ইমোশনে
তারপর তারপর — যা হবার হয় তাই
পাতি এক হাঁটু ধানক্ষেত সমুদ্র-স্বাদে ক্ষেপে
ভুলে গিয়ে পেটের আন্দাজ, গোগ্রাসে…
নুন গিলে বালি গিলে, সাঁতার প্রাকটিস
উইকেন্ড শেষ হলে খাড়িতে ফিরে গেছে নদী
ভাঙা বাঁধ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে পঞ্চবার্ষিকী
মাঝখান থেকে পচে খাল এই ধেনো বর্ষজীবী ।
ঘুম
ঘুম না হওয়া রাতের পরের দিন
চিৎ হয়ে চোখ পেতে বৃষ্টি নিই
শ্লোগান দিই— জেগে থাকা ধুয়ে দিন
ধর্মাবতার, কেন ঘুম আসে না আমার
যদি বলেন, ধর্মতলায় করি অনশন
মুখস্থ তো আছে–জবাব চাই জবাব দিন
এমনি শান্তি রাখি, ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকি
জলের লাইন, খিদের লাইন, ভোটের লাইন
শুধু খ্যাপা লাগে, এই বুকে, বড় দুঃখে
ঘুম না হওয়া রাতের পরে নিজের মুখোমুখি।
ঘর
পাতলা,ভঙ্গুর,দরমা-বেড়ার এই চৌকো নিজস্বতা বুননে দাঁড়িয়েছে,তবু বুনট-কৌশলেই যত ফাঁক
ফাঁকের পথে যত্রতত্র বাতাস, রাতে বৃষ্টির ছাঁট
ফুটো দিয়ে দেখা যায় দূর, শোনা যায় শত সুর
আর মধ্যিখানে একা, কিচ্ছু এড়িয়ে যায় না
অজস্র সুবিধের এই দেয়াল সবই ঝুলিয়ে রাখা
দারুণ ! কোথাও পেরেক পুঁততে হয় না ।
তিনটি কবিতাই অসাধারণ লাগলো। শুভেচ্ছা।