নারীর রূপ
প্রলয় সেনগুপ্ত
সবাই কেমন মনের দরদ দিয়ে,
প্রেমের কথা বলে উজার করে ।
কবি কবিতা লেখে কিতাব ভরে ।
নারীর রূপের অপূর্ব বর্ণনা করে।
কেউ মোহিত মেঘ বরণ কেশে
কেউ দেখে চুলে সাগরের ঢেউয়ে।
কেউ দেখে অন্ধকার বিদিশার নিশা ,
আমি দেখি সবই প্রসাধনের মহিমা ।
কেউ চোখ দেখে কালো হরিণ নয়ন
কারু চোখে বিদ্যুৎ ঝিলিকে জাগে শিহরণ।
কেউ দেখে পাখির নীড়, কেউ পটলচেরা
আমি দেখিনা কিছুই আই লাইনার ছাড়া ।
কেউ করে অপূর্ব বর্ণন নারীর কপোল
কপোলে তিল আর হাস্যমুখে টোল।
আমি দেখি হাস্যমুখে সন্তানে চুম্বন
আর পরিবার তরে সংসার ধর্ম পালন।
কল্পনা আজ আর নাই জীবন যাপনে
সবই ঢাকা পড়েছে যান্ত্রিক ব্যস্ত জীবনে।
কেহ নারী অঙ্গ নিয়ে করিতে রূপের বর্ণন
কোথাও কোথাও করেছে শ্লীলতা লঙ্ঘন।
কবি, লেখক বলে পেয়েছেন মহা ছাড়
সাধারণ হলে আদালতে তার হোত বিচার।
চিত্রশিল্পীরা নারীর নগ্ম দেহ করিয়া অঙ্কন
শিল্পের উৎকর্ষতার রাখেন মহা নিদর্শন।
তুলির টানে নারীরে অনাবৃত না করিলে
শিল্পকলার উৎকর্ষতা কি যেত রসাতলে?
শিল্পের নামে এরা উলংগ করে বাগ দেবীরে
এটাও শিল্পের কি নবজাগরণ সূচনা করে!