পুজোর আবহে ভাল থাকুক ত্বকও

 শরতের বাতাসে মাথা দোলাচ্ছে কাশফুল, চারদিকে কেমন পুজোর গন্ধ। সাদা মেঘের আনাগোনায় নীল আকাশ চঞ্চল। ভেসে বেড়াচ্ছে শুভ্র মেঘ। কখনো রাঙা রোদের সোনা আলোয় তপ্ত দুপুর হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে গাছের পাতায় পাতায়। নানান রূপ বৈচিত্রে রঙে তাই শরতের জুড়ি মেলা ভার। তবে শরতের এই হঠাৎ পরিবর্তন শুধু প্রকৃতিতেই না পাশাপাশি আমাদের ত্বকের উপরেও প্রভাব ফেলে। তাই এই সময় ত্বকে চাই বাড়তি যত্ন। সে ক্ষেত্রে কিভাবে ঘরে বসে নিজের যত্ন নিতে পারবেন সেটাই একবার দেখে নেওয়া যাক।  

এই সময় ত্বক ঘেমে যাওয়ার সমস্যা কম-বেশি সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এ ছাড়া ত্বকে র‍্যাশ, চামড়া ওঠা কিংবা লালচে ভাব এ সময়ে প্রায়ই চোখে পড়ে। তাই ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সানক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বকের ওপর নির্ভর করে সানক্রিমের মাঝেও পার্থক্য আছে। সেনসিটিভ, ওয়েলি কিংবা রুক্ষ ত্বকসহ সব ত্বকের জন্য এক ধরনের সানক্রিম ব্যবহার করা উচিত না। এতে ত্বকে সঠিকভাবে সানক্রিম কাজ করে না। তাই ত্বক বুঝে ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই গরমে ঘামের জন্য সানক্রিম ব্যবহার করতে চান না। বরং এ সময় আরও বেশি সানক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন। অন্যদিকে সানক্রিম ব্যবহার না করলে ত্বকে কালো দাগ আর তা থেকে ব্রণের মতোও সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। অন্যদিকে সানক্রিমের পাশাপাশি ফেসিয়ালও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ত্বকের যত্নে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে দুইবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে যাতে লোমকূপে ময়লা না জমতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে ন্যাচারাল ফেসিয়াল সবচেয়ে ভালো ত্বকের যত্নে। আপনি সেনসিটিভ স্কিনের হয়ে থাকলে মুলতানি মাটি সঙ্গে নিমপাতার গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে ফেসিয়াল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া প্যাক হিসাবে মধুর সঙ্গে মুলতানি মাটি আর বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক হিসাবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শুধু মুখের ত্বকের পাশাপাশি হাতে এবং পায়ের ত্বকের ক্ষেত্রেও এ মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে পায়ের যত্নে সবচেয়ে ভালো কাজ করে পেডিকিউর। আপনি ঘরে বসেই হাতের কাছের টুকিটাকি জিনিস ব্যবহার করে পেডিকিউর করে নিতে পারে। কুসুম গরম জলে শ্যাম্পু আর লেবু মিক্স করে তাতে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পেডিকিউর করার পাশাপাশি মধু, মুলতানি মাটি আর বেসনের মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে এর পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। যারা লম্বা সময় বাইরে থাকেন ত্বকে লালচে ভাব এবং ব্রণের সমস্যা প্রায়ই লক্ষ্য করেন তারা ত্বকে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। বরফের টুকরা পাতলা একটা কাপড়ে জড়িয়ে ত্বকের সেই জায়গাতেই লালচে ভাব কিংবা ব্রণ আছে সেখানে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি চাইলে গোলাপ জল, শসার রস কিংবা পুদিনা পাতার রস ও বরফ করে ব্যবহার করতে পারেন। ঋতুভেদে চুলের ক্ষেত্রেও যত্ন আবশ্যক। চুলের যত্নে তেলের বিকল্প নেই। প্রতিবার শ্যাম্পু করার আগে পাঁচ মিনিট ওয়েল ম্যাসাজ করে নিতে হবে এতে চুলে পুষ্টি মিলে। চাইলে আপনি কন্ডিশনার করে নিতে পারেন তবে তা যেন চুলের গোড়ায় না পৌঁছে সেই দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =