পৃথিবীর এধারে
হৈমন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়, জামালপুর, পুর্ব বর্ধমান
এই যে জামবন, ধারাবাহিক ভাবে হাঁসের দল ডেকে যায় বিকেল পুকুরের পাড় ধরে।
দূরে এক বাড়ি নিতান্তই
“ভাঙা বাড়ির আত্মকথার” ইতিহাস রচনার সাপেক্ষে স্থায়ী
ইতিহাস পড়ে সন্ধে জ্বেলে বাড়ি ফেরে বিমল মুরমু, সিধু হাঁসদারা।
ঝিঁঝিঁপোকা ঝোপের ভেতর থেকে কড়া নাড়ে, যেন এক কান্নার রোল।
অশৌচ মাখা গায়ে যে যুবতী বসে আছে খুইয়ে নোয়ার ভার,
তার চোখ দেখে অন্ধকারের গভীরতা বোঝা যায়, ক্ষিদের পাড়ায়।
একটা মাতাল রাত একলা পানসে মুখে জেগে আছে, নিঃস্বার্থ অপেক্ষায়।
আমার ‘কালবেলা’ ল্যাম্পপোস্টের আলোয় ঘুমিয়ে আছে আর ফাঁকা চেয়ার জুড়ে বসে আছে আমার ইগো রঙের শরীর।