ভাইরাস
সোমনাথ বেনিয়া, নিমতা, উত্তর ২৪ পরগনা ##
প্রতিদিনের
মতো কৃষ্ণা প্রতীকের ফ্ল্যাটে বাসন মাজতে আর ঘর মুছতে ঢোকে। আজও ঢুকলো। প্রতীক
যেন তৈরিই ছিলো,
তাই কৃষ্ণা ঢোকার সঙ্গে-সঙ্গে
প্রতীক বলে
– দাঁড়াও। আজ থেকে ক-দিন হাতে
গ্লাভস আর মুখে মাস্ক পরে কাজ করবে। এই নাও গ্লাভস আর মাস্ক। চারিদিকে ভাইরাস
ছড়িয়েছে। ভীষণ ছোঁয়াছে। ধরলে আর রক্ষে থাকবে না। কাজ করার পর এখানে খুলে রেখে
যাবে। আবার পরের দিন এসে পরে কাজ করবে।
কৃষ্ণা মাথা নেড়ে হাতে গ্লাভস আর মুখে মাস্ক পরে কাজ শুরু করলো। ঘর
মোছার সময় প্রতীককে জিজ্ঞাসা করলো
– দাদাবাবু ভাইরাস কী?
– তুমি অত বুঝবে না। ধরে নাও
ছোটো একটা বিষ যা চোখে দেখা যায় না। শরীরে ঢুকলে অনেক ক্ষতি করে।
কৃষ্ণা মাথা নেড়ে আবার কাজে মন দেয়।
সব কাজ সেরে গ্লাভস আর মাস্ক খুলে কৃষ্ণা বেরোতে যাবে, তখনই প্রতীক তার হাত ধরে টান দেয়।
চকিতে ঘুরে কৃষ্ণা প্রতীকের চোখের উপর কিছুটা সময় চোখ রেখে বলে
– দাদাবাবু, কে বলে ভাইরাস চোখে দেখা যায় না …