হ্যালুসিনেশন ও প্রেমভিখারী
রিয়া ভট্টাচার্য ##
তুমি অপেক্ষার গল্প শুনেছ প্রেমিক?
যে দুর্বিপাকে পাহাড়ের বুকে ধস নামে মাঝরাতে,
চলকে ওঠে কাদা – ধুলোরূপী অন্তর্দহন!
নীরবতাকে কখনো চিৎকার হয়ে ককিয়ে উঠতে দেখেছ?
উত্তাল গরল সমুদ্রে ভাসতে থাকা পালছেঁড়া একলা ডিঙি;
ঠিক যেভাবে নিয়তিকে ভাঙে দৃঢ়মুষ্ঠিতে।
আমি নিজেকে কৃষ্ণচূড়া ভাবিনি কখনও,
ময়ূরের শিখিপাখার মত হাসতে চাইনি শিরস্ত্রাণে…
শিমুলের মত সঙ্গী হতে চেয়েছিলাম;
রঙ ছড়িয়ে যে ঝরে যায় আনমনে।
বিষন্নতার পদাবলি কখনো ধারণ করেছ গর্ভে?
কতটা বিদ্বেষে ঝরে পড়ে বোবা চিনারের পাতা,
মহুয়ার নেশায় মরে গিয়েও প্রেমিক সাজবে বলে!
চিতার আগুনে ধরিয়েছ কভু কাগজের ফিল্টার?
অনায়াসে কত ঘৃণাবকুল ধোঁয়া হয়ে যায় মাঝরাতে,
খবর নিয়েছ কখনো কতটা পথ পাড়ি দিলে মৃত্যু ছোঁয়া যায় আলগোছে!
উষ্ণায়নে যখন অস্বীকার মাখিয়ে ছুঁড়ে দিয়েছ ভিখারীর থালায়,
আয়োডিন নুন ভেবে পাতে তুলেছিল সে কোকেনের গুঁড়ো…
হ্যালুসিনেসনে উচ্ছ্বাস তুবড়ি হয়ে ফুলকি ছড়িয়েছে মস্তিষ্কে ;
তার যাওয়ার সময় জড়িয়েছ কেন তাকে’ ছাড়ো!
কবিতা যখন ভক্ষক হয়ে মুণ্ডু চিবোয় কবির,
বিধাতার দরবারে ক্ষীরের বদলায় ছুঁড়ে দেয় দলা চুন…
ভিখারীটা আবার বাঁচতে চেয়েছিল সেদিন মধ্যরাতে;
ক্ষিধের মুখে খাবলে গিলেছিল অবজ্ঞার কালা নুন।