অতল হ্রদের সীমা
জয়ীতা চট্টোপাধ্যায় ##
মৃত্যুর আগে আমি একবার নক্ষত্রের দিকে তাকাই,
তাকাই অনিমেখে।
কবে তোমার বুকের গন্ধ মুছে গেছে আমার শরীর থেকে।
জীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, বিচ্ছিন্ন মেঘের মতন প্রান্তরের মতন নীরবে
নক্ষত্রের বাতি জ্বেলে বুকে, কি ভাবে এই বোঝা নিয়ে জিরোবে
নিভে গেলে বাতি জেগে যায়, জেগে যায় বারবার
বিক্ষত হৃদয়ের বোঝা নিয়ে কি ভাবে বল কি ভাবে ঘুম পায় তার
নক্ষত্রে ভরা সন্ধ্যার আকাশ শিশিরে ভেজা ঘাসে শুয়ে আছি
শরীর জুড়ে মৃত্যু লেগেছে, এইসব নক্ষত্র চিরকাল থাকবে কাছাকাছি
এ পৃথিবীতে যেন কোনও ব্যথা নেই, তবু কেন আমি মৃত্যুকে খুঁজি?
দূরে কৌতুকী আকাশ মুচকি হাসে, আমি বুঝি আমি বুঝি।
সন্ধ্যের তারা দেখি অপলক ঝাউয়ের ওপরে
বলতো রাতের তারা কোন পথে আমি ফিরি ঘরে?
সবাই নিজের ঘরে চলে যায় কেউ কেঁদে কেউ বা হেসে,
আমি শুয়ে থাকি অন্ধকারে,
ঠায় তোমাকে ভালোবেসে।।