ঈষদুষ্ণ গরম জল পানের উপকারিতা
ব্যস্ত এই জীবনযাত্রায় কমবেশি অনেকেই হজমের সমস্যায় ভুগছেন। এর উপর আছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। একইসঙ্গে বাড়ছে ওজন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না এমন অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হলো কয়েক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল। প্রতিদিন কয়েক গ্লাস হালকা গরম জল নিয়মিত পানে স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
* অনেকেই খাওয়ার মাঝে জল পান করেন। এতে খাবারের সঙ্গে পাচক রস সঠিকভাবে মিশতে পারে না। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দেয়। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস হালকা গরম জল খাওয়া যায়, তাহলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হালকা গরম জল খাবার দ্রুত হজমেও সাহায্য করে।
* দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম জল পান করতে পারেন। এতে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে হালকা গরম জল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
* সাধারণ তাপমাত্রার জলের তুলনায় হালকা গরম জল পানে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়।
* দ্রুত মেদ ঝরাতে হালকা গরম জল অত্যন্ত কার্যকর। এতে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। এ ছাড়া এ জল খিদে কমিয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম জলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে মেদ ঝরবে দ্রুত।
* প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম জল পানে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলো সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বাড়বে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও। শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনীতে রক্তচলাচলের গতিও স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়।
* যারা দীর্ঘদিন ধরে বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম জল পান করে দেখুন। নিয়মিত এ জল পানে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথাবোধও ক্রমশ কমে আসবে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, পেট পরিষ্কার থাকলে শরীরের অনেক রোগ আমাদের ধারে-কাছেও ঘেঁষতে পারে না। পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও থাকে ঝকঝকে, উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে, খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস হালকা গরম জল পানে ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়।