একটা চিঠি লেখা হলো না তোমায়…
পারমিতা ভট্টাচার্য, তারকেশ্বর, হুগলি ##
সেই কোন কাল থেকে করছি শব্দ সঞ্চয়
তোমাকে একটা চিঠি লিখব বলে,
সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো জীবনের শেষ প্রান্তে এসে,
কত স্বপ্নের হলো সলিল সমাধি,
কত মায়াবী রাত এলো,কুয়াশার চাদর গায়ে
কত শব্দরা পাড়ি দিল ভিনদেশে..অবশেষে।
তবুও তোমাকে একটা চিঠি লেখা হলোনা আমার।
সন্ধ্যায় দেউড়িতে ঠেস দিয়ে,
লেখা হলোনা বঞ্চনার সাতকাহনের ইতিকথা,
তুমি অনন্ত আকাশ,বিস্তীর্ণ তোমার ব্যাপ্তি
আমি ক্ষুদ্র একটি বুদবুদ – কণা মাত্র,
তবুও বুকের মধ্যে ঢেউয়ের অম্লান কথকতা।
কতবার ভেবেও একটা চিঠি লেখা হলোনা আমার।
আসমানী রঙ গায়ে মেখে তুমি,
যখন দাঁড়াও ওই দিগন্ত রেখার কোলে,
তখন সেই আসমানী রঙ ছড়িয়ে পড়ে
বিশ্ব চরাচরে,আর তুমি?
হেসে উঠেই মিলিয়ে যাও ঢেউয়ের দোদুল দোলে।
আচ্ছা,একটুও কি পড়েনা মনে তোমার,
এই ছোট্ট বুদবুদের কথা?আমি নগণ্য বলে ?
যে,পাথরের খাঁজে আটকে থেকে শুধুই তোমায় দেখে,
একটুও কি নেই তোমার, তার জন্য সময়?
একটুখানি সাদর অভিবাদন,
তবে,ভালোবাসার বাহুডোরে বাঁধলে কেনো তাকে?
এভাবেই আমি বুদবুদ, একদিন,হারিয়ে যাবো কালের দুর্বিপাকে।।