ওরা ভাঙছে মূর্তি
বটু কৃষ্ণ হালদার, কবরডাঙ্গা, কলকাতা ##
প্রশ্ন করি?
তোমরা সব কেমন রাজনীতিবিদ, কেমন মানুষ জন
মূর্তিগুলি ভাঙছো অবলীলায়, সেই কথা ভাবছি সারাক্ষণ
মূর্তিগুলি তো প্রাচীন সৌধ, যুগ যুগ ধরে বহন করে কালের ইতিহাস
নোংরা রাজনীতির পাশা খেলায়, রক্তে ভেজা লাশ।
ওরা মূর্তি ভাঙে নি…
ভাঙছে পাষান বিবেক, ভাঙছে গনতন্ত্র।
কালিমা লিপ্ত বাংলার কালের ইতিহাস…
মূর্তিগুলি জীবন্ত অতীত, প্রতিবাদের ভাষা।।
মূর্তি ভেঙে হয় না পূরণ নোংরা রাজনীতির অভিলাষা।
ছি :, ছি : তোমরা নাকি রাজনীতিবিদ?
তোমরা সভ্য সমাজের মুখোশ ধারী হায়নার দল,
মুখোশের আড়ালে দাঁত খিচিয়ে হাসো
প্রশ্ন করি?
তোমরা কি বাংলার সভ্যতা, সংস্কৃতিকে ভালোবাসো?
বর্বর, পিশাচ, অনুন্নত, বিকৃত মস্তিষ্কের আখড়া নাকি ভীরু, কাপুরুষের দল…
তোমরা আপন স্বার্থে চালাও নানান কৌশল।।
একে একে তোমরা ভেঙেছো লেনিন, নেতাজি, বিবেকানন্দ, আমবেদকর, বিদ্যাসাগরের মূর্তিগুলি…
যারা বন্ধ্যা সমাজ কে দিয়েছিল উর্বরতার ঠিকানা।
কুসংস্কারের থেকে মুক্তির আলোয় ভরিয়ে দিয়েছিল অন্ধকার সমাজের ধারা…
নিজেদের জীবনের বিনিময়ে এনেছিল স্বাধীনতা।
যদি ভাঙতেই হয়, তবে ভেঙে ফেলো পাষান হৃদয়ের বর্বরতা, কঠোরতা, নির্মমতা।।
আজও পিপাসার্ত আলোর বুকে মাথা রাখো, শুনতে পাবে গভীর আঁধারের আর্তনাদ।
বুঝিনি, কিসের নেশায় ওরা ভাঙছে মূর্তি নয়,
আপন ভবিষ্যত
ধ্বংসের নয় হয়ে ওঠো প্রকৃত সমাজ গড়ার কারিগর।।
নিজে বাঁচ, বাঁচতে শেখাও, হোক রাজনীতির নীতি,
মূর্তিগুলি আমাদের পূর্বসুরী, শিখিয়ে ছিল ভালবাসা আর সম্প্রীতি