কবিতা
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদঃ বাসুদেব দাস ##
তিনি বললেন,অন্ধকারকে ভরসা করা যায়
রাতের গহীন পাখির মতো
শরীরের ডালে ডালে বসে থাকা পাপ
নিরুদ্বেগে জীবন যায় অন্ধকারে
অন্ধকারের ও শরীর আছে
ঝোপ জঙ্গলের মতো
একটা ক্ষুধার্ত সাপের মতো
অধৈর্য হয়ে থাকা ভয়ে
সেই জঙ্গলের মধ্যে গর্ত খুঁড়ে ইঁদুরের মতো
নিজেকে লুকিয়ে রাখে অন্ধকারের খাদে খাদে।
তিনি বললেন, ,অন্ধকারকে ভরসা করা যায়
অন্ধকার যেন এক মৃত নদীর সমাধি
বালি এবং বালির স্তরে স্তরে যত
লুকিয়ে রাখতে পারি
অপরাধবোধ আর গ্লানির ক্ষিপ্র ক্ষিপ্র সুঁতি
অন্ধকারেও বীজের মতো অঙ্কুরিত হয়
আর দ্রুত বেড়ে উঠে
ভীষণ এক গাছ হয়ে
শুষে শুষে সমস্ত মাটি
আর জল
আর বাতাস
তিনি অন্ধকারেই দুচোখ বুজলেন
গাছের ডালের সেই নির্জন পাখিটির মতো
ক্ষুধার্ত সেই সাপটির মতো
বালির নিচের সেই নদীটির মতো
তারপর তিনি চিৎকার করে করে
অন্ধকারেই টানাটানি করতে লাগলেন
তাঁর মাঝখানের গাছটি।
তিনি যেন একেবারে আমার কথাটিই বললেন,
অন্ধকারকে ভরসা করা যায় না।