জ্বলন্ত মার্কার
রাজীব চক্রবর্তী, সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ##
বজ্রযান সাধনায় সেইসব
পলাশপ্রিয়ারা খুন হতে চায়
চিকন ছুরির ফলায় রক্ত লাগে আর তুমি কিনা নির্মম চীনাংশুক
(যদিও বৃক্ষের সাথে কথা হয় নিয়মিত)
এতল্লাটে শালগাছ, ইউক্যালিপটাস
আদিগন্ত কাজুবাদামের কথা হয়
পুরনো মন্দির চত্বরে
জমাট রক্তের মতো
স্বর্ণগোধিকারাও উপস্থিত হয়
বুনো হাঁসেদের সাথে
প্রবাহিত ভায়াগ্রার মগ্ন তেজ
মুছে নিয়ে পাফে মেশে
নেশার পাউডার
কলঙ্কিনী রাধা
ব্রজসুন্দরী হেঁটে যান
শান্ত নিধুবনে…
টায়ালিন শুকিয়েছে ক্রমশ
যেভাবে, সেই কায়দায়
টেনে নেয় ইঁদারার জল
দিকচক্রবাল আলুথালু
সূর্য গড়িয়েপড়ে
উলের গোলার মতো
নদীর ভিতরে
ফুরিয়ে চলেছে
ঋতুবীজ, নাভিকুণ্ডে তেতে আছে
শতাব্দীর জয় -পরাভব
অপূর্ব রঞ্জিত এইসব
ঝকঝকে দিনমান
নৈশ সাঁজোয়া
আরো কত বীরদর্প গাথা
কাঁথাস্টিচের মতো
কসমিক দেশপ্রেম
ছিন্নপত্রাবলী
হারিয়ে হারিয়ে যায়
পড়ে থাকে ভষ্মস্তুপ
শতাব্দীর শেষ ধূমকেতু –
এইপথ দিয়ে চলে গেছে
তুমিও ফিরবে বলে
আম্লানবদনে চলে যাও
হে নবীন, নবলব্ধ
চতুরঙ্গ সেনা
নিয়ন আলোয় মোড়া
হে আমার জ্বলন্ত মার্কার