ট্রাফিক পুলিশের জন্য এসি হেলমেট
ট্রাফিক পুলিশদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে গরমে দগ্ধ হওয়ার দিন শেষ হতে চলেছে এবার। রোদে কাজ করার সুবিধার্থে ট্রাফিক পুলিশদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ হেলমেট দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই এসি হেলমেট আপাতত পাচ্ছেন আহমেদাবাদ শহরের ট্রাফিক পুলিশ।
‘এসি হেলমেট’ ট্রাফিক পুলিশদের শুধু শরীরই ঠান্ডা রাখবে না, একই সঙ্গে ধুলাবালি ও রাসায়নিক গ্যাস থেকেও রক্ষা করবে। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে আহমেদাবাদের কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে এই হেলমেট পরতে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের জন্য এই এসি হেলমেটের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে গত ১০ আগস্ট থেকে। এ পরীক্ষা সফল হলে সব ট্রাফিক পুলিশকে এসি হেলমেট দেওয়া হবে।
আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ‘এসি হেলমেট’ চলে ব্যাটারিতে। সেই ব্যাটারি লাগানো থাকে ব্যবহারকারীর কোমরে। একবার চার্জ দিলে আট ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে। প্লাস্টিকের তৈরি এই হেলমেটের ওজন সাধারণ পুলিশ হেলমেটের চেয়ে ৫০০ গ্রাম বেশি।
‘এসি হেলমেট’ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এটি আশপাশের বাতাস টেনে নিয়ে ওই বাতাস দিয়ে মুখের আশপাশের তাপমাত্রা কমায় ও ধুলাবালি দূর করে। এই হেলমেট টেনে নেওয়া বাতাস ফিল্টারও করে বলে জানিয়েছে এর প্রস্তুতকারক সংস্থা। সাধারণ হেলমেটের তুলনায় এসি হেলমেটের ডিজাইন বেশি টেকসই। এর সামনের দিকে ফ্যানের মতো কাঠামো আছে, যা বাতাস বের করতে ও গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
এসি হেলমেট ব্যবহারকারী কনস্টেবল দিব্যরাজসিংহ রানা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এসি হেলমেটের অভিজ্ঞতা দারুণ। …নাকের সামনে এসি হেলমেটের একটা ধুলা নিরোধক শিল্ড আছে। এর ফলে দেখতে সহজ হয়। এছাড়া ভেতরের ফ্যানের জন্য ঘাম হয় না, আমিও ক্লান্ত হয়ে পড়ি না।’ রানা জানান, এসি হেলমেট পরলে তাদের আর রুমাল দিয়ে বারবার ঘাম মোছার দরকার পড়ছে না। ভবিষ্যতে এই ধরনের হেলমেট দেশের অন্য শহরে পুলিশ কর্মীদের জন্য্ও চালু হতে পারে।