পরকীয়া
রমেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য
সুচরিতা, আমি জানতাম
তোর মধ্য দিনের আনন্দভৈরবী
প্রণামের মন্ত্র হয়ে বেজেছিল
আমার ঋতুপঞ্চম গানে ।
তোর মন্ত্র পড়া জীবন দোসর
খোঁজ রাখেনি তোর কথাকলি
ভ্রূণের লুকনো গর্ভাধানে ।
আমি ছিলাম তোর ইচ্ছেকুসুম
প্রকাশ আলোর সমাধান
যার হাতে তোর শুরু হয়েছিল
মন খুঁড়ে চলা অভিযান ।
আবার বিষম মেরুর হাতে হাত
রেখে আধখাওয়া জীবনের পাতে
পরকীয়া ছিল ইষ্টিকুটুম বসন্ত দিন রাতে ।
তারপর একদিন তোকে দেখলাম
মজেছিস তুই উজানিয়া অভ্যাসে
রাজহংসীর পালক খসানো
দগদগে বেশবাসে
স্বাধীনতার প্রথম শহিদ ঘাটে
বসেছিস তুই ভরা জোয়ারের পাশে ।
তোর কাঁধে ছিল যুবন্বাশ্বের হাত
সামনেই ছিল অতল নদীর খাত
জানিনা তুই ডুবেছিস কিনা
ধরেছিস কার মুঠি
ফুল তো ফুটেছে, মালাকর নেই
দিয়েছিস তাকে ছুটি ।
ভালোই হয়েছে ভুলেছিস তুই
বিষম ঋতুর টান
আমার অর্ধেক আকাশে
এখন পরকীয়া সন্ধান ।