বিন্দুসেচ
অমিত কুমার বর, খেজুরী, পূর্ব মেদিনীপুর ##
বিন্দু সেচের যুগ এসেছে,
জল বাঁচানো চাই।
কালের গ্রাসে, ভূগর্ভে আজ
জলের ভাঁড়ার নাই।
হাত-পা ধুতে, স্নান করতে
কত জল যায় বয়ে।
অপচয়-টা বন্ধ করো,
ব্যবহার করো নিয়ে।
সচেতন হও জল বাঁচাতে
সঞ্চয় করো জল।
ভবিষ্যতে তবেই মিলবে
জীবনদায়ী জল।
আজ এসেছে সময়রে ভাই
বিন্দু সেচের কালে।
চাষী ভাই এসো শিক্ষা লভি
আজকে দলে দলে।
বিন্দু সেচে কৃষি কাজে
লাভটা দারুন হবে।
জলের জন্য অধিক ব্যায়িত
অর্থ বেঁচে যাবে।
আগাছা তেমন জন্মায় না
জল লাগে খুবই কম।
ঈষৎ নোনা জলেও ভাই
চাষ হবে জোর কদম।
মাটির গঠন থাকবে ভালো
অনু জীব রবে সুখে।
গাছের স্বাস্থ্য থাকবে ভালো
অবাক লাগবে দেখে।
জল দিতে কত সমস্যা হয়,
চাষী ভাই ভালো জানে।
বিন্দু সেচে শ্রম লাগে কম,
সুখ পাবে কত মনে।
সার দেওয়া বেশ সহজ এতে
সারও লাগে কম।
প্রায়, দ্বিগুণ ফসল বাড়বে চাষে
হাঁফ ছেড়ে পাবে দম।
এবার বলি চাষী বন্ধু
বিন্দু সেচ বাকি?
কম জলেতে সম্ভব চাষ!?
উপায় আছে কি?
মোটর-পাম্পে জল উঠবে
মেইন পাইপ দিয়ে যাবে।
সাব-মেইন পাইপ, মেইন থেকে
সারি বরাবর দিবে।
প্রতি গাছেতে, সাব্-মেইন থেকে
টেরাল দেওয়া চাই।
তার সাথেতে ড্রিপারগুলো
থাকবে অবশ্যই।
ফোঁটা ফোঁটা জল পড়বে গোড়ায়
পাম্প অন করে দিলে।
জন-মজুর অতো লাগবে না
সেচটা দিতে গেলে।
মৃত্তিকা-গুন ধুয়ে যাবে না
জলে মিশে নীচে যাবে।
কৈশিক টানে উদ্ভিদ যত
সহজে খাদ্য পাবে।
এসো চাষীভাই চাষ করি
বিন্দু বিন্দু সেচে।
প্রাচীন পদ্ধতি ঝেড়ে ফেলে দাও
মন থেকে মুছে-চেঁচে।
ইজরায়েলকে দেখো একবার
বিন্দু সেচের দেশ।
কৃষিতে ব্যাপক উন্নতি আনে
চাষীরা আছে বেশ।
আমরিকা দেখো, অস্ট্রেলিয়া দেখো
এগিয়ে যাচ্ছে দারুণ।
আমরা কেনো পিছিয়ে রব,
সবাই এগিয়ে আসুন।
ভর্তুকি পাবে কিনতে এসব
বি’ডি’ও অফিস থেকে।
প্রযুক্তি-টা লাগাও কাজে,
উন্নতি দশ দিকে।