মন কেন তবুও…
নির্মল ঘরামি, হাসিমপুর, হুগলী ##
দিয়াকে এবছর জিরাটে ঠাকুর দেখতে যেতেই হবে। প্রায় কুড়ি বাইশ বছর পর তার জীবনের এক মর্মান্তিক স্মৃতি বিজড়িত জিরাটে আজ আবার পা রাখবে। যেতে কি আর ইচ্ছে করে, ছেলের জোড়াজুড়িতে আর স্বামীর অনুরোধে অবশেষে প্রবল অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজী হতে হয়। সে একপ্রকার প্রতিজ্ঞা করেই বসেছিল, জীবনে আর কখনো জিরাটে পা দেবে না। কিন্তু শেষপর্যন্ত ছেলে আর স্বামীর কাছে তাকে হার মানতে হয়।
বছর চার পাঁচ ধরে জিরাটের দুর্গাপূজা প্রচারের আলোয় এসেছে। মিডিয়া গিয়ে পুরষ্কৃত করছে। গতবছর জিরাট বাসস্ট্যান্ডের প্যান্ডেল ডিস্ট্রিক্টে ফার্স্ট হয়েছিল। নতুন নতুন থিমের প্যান্ডেলও নাকি হচ্ছে। পেপারে এ নিয়ে কত লেখালেখি। কম কথা নয়। ঠাকুর দেখার মানুষের ঢলও প্রচুর। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে হপিং-এর সময় দর্শনার্থীদের তোলা সেলফির পোস্ট সোস্যাল মিডিয়ায় কারি কারি ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুড়ি বাইশ বছর আগের জিরাটের থেকে এখনকার জিরাট অনেক বদলে গেছে।
দিয়ারা এবছর একটা ফোর হুইলার কিনেছে। ছেলে আই.আই.টি.-তে চান্স পাওয়ার আনন্দে কেনা এ গাড়ি। ছেলেকে ভর্তি করানোর পর একদিন বিপ্লব দিয়াকে বলে,’দেখো, ছেলের ভবিষ্যত তো মোটামুটি একপ্রকার তৈরিই হয়ে গেল। এবার আমরা জীবনটাকে একটু ভালো করে উপভোগ করতে পারি।‘
দিয়া কটমট করে তাকালে বিপ্লব কাচুমাচু হয়ে যায় দেখে ও শান্ত গলায় বলে,’কি বলতে চাইছো, একটু স্পষ্ট করে বলো?’
বিপ্লব এবার সাহসী হয়ে বলে,’বলছিলাম, একটা ফোর হুইলার কিনলে কেমন হয়?’
দিয়া ফিক করে হেসে ওঠে। তারপর বিপ্লবের নাকটা আলতোভাবে নাড়িয়ে দিয়ে বলে,’ঠিক আছে মশাই, কেনা যাবে।‘
দিয়া সায় দেওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে একটা লোন করে গাড়িটা কেনে। দু’জনেই চাকরি করে। দিয়া ব্যাঙ্কে আর বিপ্লব সরকারি অফিসে গাড়ি কেনাটা তাই ওদের কাছে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার নয়। ছেলে ওদের হীরের টুকরো। পড়াশোনায় অসাধারণ। এক চান্সেই আই.আই.টি.-তে।
ছেলে দীপন পূজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছে। পূজোর ক’দিন ওদেরও ছুটি। তাই ছুটির দিনগুলো ছেলেকে নিয়ে আনন্দে কাটাতে চায়। দীপন এবার গাড়ি করে একদিন জিরাটে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কথা বললে বিপ্লবও ছেলের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে। দিয়া পড়ে যায় যাঁতাকলে। অগত্যা রাজি হতে হয়।
অষ্টমীর দিন বেলা পাঁচটার পর দিয়া হাতমুখ ধুয়ে ঘরে যায় তৈরি হতে। অনেক দিন পর আজ ও একটা দামী শাড়ি পড়বে। বিপ্লব নিজের হাতে কিনে এনেছে ওর জন্য। শাড়িটা আলমারি খুলে বের করে। ভীষন পছন্দ হয়েছে ওর। কালারটা ওর অত্যন্ত প্রিয়।
ব্লাউজ আর শায়া পড়ে কাপড়ের ভাঁজগুলো খোলে একটার পর একটা। খুলতে খুলতে ভাবে, সত্যিই বিপ্লবের পছন্দ আছে। তারপর ধীরে ধীরে শাড়িটা পড়ে। অনেক দিন শাড়ি পড়ার অভ্যেসটা নেই বলে একটু বেশি সময়ই লাগে। তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। খুব ইচ্ছে করছে একটু সাজতে। তাই আর সাত সতেরো না ভেবে টুলটা টেনে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে পড়ে। একের পর এক একটা সাজার জিনিস দিয়ে নিজেকে সাজাতে থাকে। সাজার পর মোহিত হয় নিজেকে দেখে। ফিরে যায় যৌবনের উচ্ছলতায় উন্মাদিত দিনগুলিতে। হারিয়ে যাওয়া অতীতের বিন্দুমাত্র কোনোকিছুর মধ্যে খুঁজে পেলেই ফেলে আসা স্মৃতি এসে ভিড় অবচেতন মনে।দিয়ারও তাই হলো। ডুবে যায় স্মৃতির পাতায়।
হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করে অ্যাকাউটেন্সিতে অনার্স নিয়ে জিরাটের বিজয় কৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সকলেই মধ্যেই একটা আলাদা উদ্দীপনা দেখা দেয়। কালবৈশাখী ঝড় যেমন বেসামাল হয়ে ছুটে যায়, ঠিক তেমনি। এ সময়ে চুটিয়ে প্রেম করার ইচ্ছেটা প্রবল হয়ে ওঠে। দিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু মনের মতো ছেলে কিছুতেই পায় না। এইভাবে পড়াশোনা আর আড্ডার মধ্য দিয়ে চলতে চলতে একদিন ফার্স্ট ইয়ার শেষও হয়ে যায়।
সময় বড়ো বেহায়া। কারো কথার সে ধার ধারে না। আপন খেয়ালে চলতে থাকে। কারো জন্য অপেক্ষাও করে না। আবার ধরতে চাইলেও ধরা যায় না। শুধুই এগিয়ে যায়। একটু হুঁশ হলে ফিরে তাকাতেই দেখি, জীবনের কতটা সময় পেরিয়ে এলাম।
এ বছর কলেজ সোস্যাল বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে হবে। নামকরা সব আর্টিস্ট আসবে। গতবছর মা-বাবা আসতে দেয়নি। এবার অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে এসেছে। তবে সকাল সকাল বাড়িও ফিরতে হবে। শাড়ি পড়ে সেজেগুজে এসেছে। দারুন লাগছিল ওকে। সেই দিনই বাপির সঙ্গে ওর প্রথম আলাপ। করিয়ে দিয়েছিল ওরই কলেজের বন্ধু রূপক। এই আলাপ থেকে পরিচয়। তারপর ধীরে ধীরে প্রেম।
বাপিকে দেখেই দিয়া ক্রাশ খায। খাওয়াটাই স্বাভাবিক। সুন্দরের মোহে কে না মোহিত হয়। বাপির স্টাউট অ্যান্ড স্লিম ফিগার। হ্যান্ডসাম লুক। দিয়াও কম রূপসী নয়। কলেজের অধিকাংশ ছেলেই প্রেমে পড়তে চাইতো। কিন্তু কলেজের কাউকে ওর যোগ্য বলে মনে হতো না।
বাপি সেদিন দিয়ার মনটা ভালো করে পড়ে নিয়েছিল। তারপর থেকেই দিয়া ট্রেন থেকে নেমে বাপির বাইকে করে কলেজ যায়। ধীরে ধীরে দিয়ার প্রেম বল্গাহীন ঘোড়ার মতো উদ্ভ্রান্ত হয়ে ছুটে চলে।ও এখন বাপির প্রেমে দিওয়ানি। বাপি যা বলবে তাই করতে ও প্রস্তুত। যে কোন মূল্যে ওর বাপিকে চাই।
এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল বাপি। ধূরন্ধরেরা ভুল করে না। সঠিক কাজটি করার জন্য ধৈর্য ধরে শুধু অপেক্ষা করে সুযোগের। পা মেপে মেপে চলাই ওদের কাজ। বাপির কথায় একদিন দিয়া বেরিয়ে পড়ে ওর সাথে। কোথায় যাবে কিছুই জানে না। বাপি যেতে বলেছে ব্যস। এদিক ওদিক ঘুরে শেষে একটা হোটেলে ওঠে ওরা। প্রেমালাপের মধ্যে দিয়ে হারিয়ে যায় মোহের বন্যায়। একসময় দিশেহারা হয়ে ওঠে দু’জনে। ভুলে যায় উচিত অনুচিতের বিচার। আদিম খেলায় উদ্গ্ৰীব হয়ে ওঠে। অবশেষে নিজেদের সমর্পণ করেই শান্ত হয়।
খেলা শেষে দিয়া উচিত অনুচিতের দ্বন্দ্বে জর্জরিত হতে থাকে। ভারাক্রান্ত গলায় বাপিকে বলে,’আমাদের ভুল হয়ে গেল না তো?’
‘জীবনটা এনজয় করার,বুঝলে? এতে ভুল কোথায়?’ বাপি তখন বাসনা চরিতার্থ করার তৃপ্তিতে ডুবে।
কিন্তু দিয়ার মন থেকে সংশয় কিছুতেই যায় না। দোলাচলে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে অসহায়ের মতো বলে ওঠে, ‘তুমি আমাকে বিয়ে করবে তো’?
দিয়ার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে বাপি ওকে অনেক সান্ত্বনা দেয়। আশ্বস্ত করে। দিয়ার বারবার মনে হচ্ছিল ওর বোধহয় ভুল হয়ে গেছে। অতি বেশি দূর এগোনো হয়ে গেছে। তাই বারবার এই করুণ আবেদন করছিল।
কিছুদিন পর থেকে দিয়া বুঝতে পারে, বাপি ওকে এড়িয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারে আবার নতুনে মজেছে। ছুটে গিয়েছিল। অনুনয় বিনয় করেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। বাপির কথার মধ্য দিয়ে বুঝেছিল মেয়েদের শরীরটাই ওর কাছে সব। একদিন ভেবেছিল নিয়তির হাতে তুলে দেবে নিজেকে। কিন্তু পারে নি একমাত্র বাবার জন্য। সবসময় পাশে থেকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছে। বারবার বলেছিল, ‘ভুল তো মানুষই করে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। নতুন করে তৈরি করতে হবে নিজেকে। বুঝিয়ে দিতে হবে, মেয়েরাও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।‘
অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল কথাগুলো। আবার নতুন করে শুরু। পড়াশোনা কমপ্লিট করে প্রস্তুতি নেয় একটা চাকরির। একদিন জুটেও যায়। ব্যাঙ্কে। ভেবেছিল জীবনে আর কখনো কাউকে জীবন সঙ্গী করবে না। কিন্তু আবার সেই বাবার কাছে পরাজয়। তারপর এই ভোলাভালা বিপ্লবের গলায় মালা পরিয়ে জীবনের দুপুর পেরিয়ে পড়ন্ত বেলার প্রাক মুহূর্তে আজ দাঁড়িয়ে। বিপ্লবের ভালোবাসায় কোনোদিন এতটুকু খামতি কখনও দেখেনি। সত্যি বিপ্লব ওকে অসম্ভব ভালোবাসে। একবার জ্বরে কয়েকদিন বিছানা নিয়েছিল ও। সেবার বিপ্লবের সেবায় মুগ্ধ হয়েছিল। ও সে ক’দিন অফিস কামাই করে ঠিকমতো সময়ে ওষুধ খাওয়ানো, জ্বর না কমায় রাত জেগে মাথায় জলপট্টি দেওয়া; কী না করে নি ও।
‘কি গো, এখনও হয়নি তোমার? ’দরজায় দাঁড়িয়ে বিপ্লব হাঁক দেয়।
ছন্দপতন ঘটে ভাবনার জগতে। থতমত খেয়ে মাথা ঘোরায়। তারপর হাসি হাসি মুখে বলে,’এই তো হয়ে এসেছে প্রায়। আর একটুখানি। ‘ সঙ্গে সঙ্গে মাথাটা ঘুরিয়ে চিরুনিটা হাতে নিয়ে চুল আঁচড়াতে শুরু করে।
বিপ্লবের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় দিয়ার দিকে। আলগোছে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘তোমাকে না কী সুন্দর লাগছে! ইচ্ছে করছে…’
‘তুমি তাড়াতাড়ি যাও। দেরি হয়ে যাবে। ছেলে এসে যাবে।‘বলতে বলতে একপ্রকার ঠেলেই বার করে দেয় বিপ্লবকে।
বিপ্লব চলে আসার পর মিনিট দশেকের মধ্যেই দিয়া এসে গাড়িতে ওঠে। ছেলে দীপন সামনে বাবার পাশে বসে। লুকিং গ্লাসে দিয়াকে দেখে একবার আঁড় চোখে ওর চোখ দিকে তাকায়। ‘অসারণ লাগছে আজ ওকে। সত্যি কপাল গুনে ওকে ও পেয়েছে। ‘একটা আনন্দমিশ্রিত হাসির ছটা ফুটে ওঠে ওর চোখে মুখে। গাড়ি স্টার্ট দেয়। দোদুল গতিতে এগিয়ে চলে। এ দোলা আজ ওদের দু’জনের মনের মধ্যেও।
গাড়ি এসে থামে জিরাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে। স্টেশন রোডে নো এন্ট্রি থাকায় গাড়িটাকে একটা অস্থায়ী গ্যারেজে রেখে হাঁটতে শুরু করে। পূজোর গন্ধে ম-ম করছে সমগ্ৰ জিরাট অঞ্চল। মানুষের স্রোত বইছে রাস্তায়। জিরাটের অভাবনীয় পার্থক্য দেখে দিয়ার ভালোলাগার পাশাপাশি কষ্টও হয়। পুরোনো দিনের গান ভেসে আসে। নীরব আবেশে মন ভারাক্রান্ত হয়। একটার পর একটা ঠাকুর দেখে ওরা এগিয়ে চলে আদি বারোয়ারীর দিকে। এখানকার ঠাকুর এবার সেরার সেরা পুরস্কার পেয়েছে।
যতই এগিয়ে আসে,ততই দিয়ার মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। অবশেষে প্যান্ডেলের অনেকটা দূর থেকে প্রতিমা দর্শনের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। ওরা তিনজনই দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দিয়া, মাঝে দীপন আর শেষে বিপ্লব। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে লাইন। দিয়া এদিক ওদিক তাকায় একটা ভীতি আর অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে। প্যান্ডেলের প্রায় কাছাকাছি। ডানদিকে একটা অনুসন্ধান অফিসের ছাউনী। অনেকেই বসে আছে চেয়ারে। একজন মাইকে দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলে চলেছে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা। তার পিছন থেকে একজনের কথা মাইকে কাটা কাটা শোনা যায়,’বাপিকে এখানে বসালাম। খুব অসুস্থ। একটু লক্ষ্য রাখিস।‘
কথাগুলো দিয়ার কানে আসতেই মুহূর্তের মধ্যে সেদিকে মুখটা ঘোরায়। দেখতে পায় ভীষণ অসুস্থ বাপিকে। রোগা শীর্ণ শরীরে যেন মৃত্যুর ছাপ স্পষ্ট। প্রাণবায়ু যে কোনো দিন, যে কোনো মুহূর্তে বেরিয়ে যেতে পারে।
সামনের লোক এগিয়ে যায়। দিয়া এগুচ্ছে না দেখে দীপন বলে, ‘এগোও মা।‘
ছেলের কথা কানে আসতেই দিয়া থতমত খেয়ে এগিয়ে যায়। মনের মধ্যে একটা চাপা ব্যাথা কাঁটা ফোটার মতো খচখচ করে বিঁধতে থাকে।
প্যান্ডেলে ঢোকে। ভিতরটা অসাধারণ কারুকার্য খচিত। প্রায় সবাই ছবি তুলছে। দীপনও মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত। দিয়ার সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে প্রতিমার দিকে। চোখ বুজে জোড়হাত করে কপালে ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে। ঠোঁট নেড়ে বিরবির করে কিছু বলছে।
বিপ্লব এবার দিয়াকে বলে, ‘এবার চলো। বেরুতে হবে যে। ওরা তাড়া দিচ্ছে।‘
কথাগুলো কানে যেতেই দিয়া চোখ মেলে। প্রতিমার উপর দৃষ্টি পড়ে। দেখে প্রতিমার দু’গাল অশ্রু ধারা। আলোক সজ্জায় তা চিকচিক করছে। দিয়ার চোখ দু’টোও ছলছল করে ওঠে। অগত্যা বেরিয়ে আসতে হয় স্বামী আর ছেলের পিছন পিছন।
আবার একই রাস্তা ধরে হাঁটা। মাইকে বিষাদের সুর ভেসে আসে। হাজারো আওয়াজের মধ্যেও সে সুর বহু দূর ভেসে চলে। যাওয়ার পথে ওরা একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে খাওয়া দাওয়া করে। দিয়া অবশ্য কিছু খায়নি। অবশেষে বাড়ি ফেরা।
শরতের পরিষ্কার আকাশে কোথা থেকে একটুকরো কালো মেঘ এসে চাঁদকে ঢেকে দিয়েছিল। বৃষ্টি ঝরেছিল এক পশলা।
দোষীকে তার অপরাধের শাস্তি এই জীবনেই পেতে হবে ,তবে দোষীর দোসর হবার দায় কিছু টাত ভুগতে হবে ,তাই মনের কোনে ও মেঘ এসে চাঁদকে ঢেকে দিল ।