যৌবনের এপিঠ ওপিঠ
বাদল রায় স্বাধীন ##
ঝুম ঝুমিয়ে বৃষ্টি পড়ে, আষাঢ় শ্রাবন মাসে,
নদী তখন যৌবন পায়,দুর্বার হয়ে হাসে।
সে হাসি যে তীব্র অনেক, ভাঙ্গে নদীর কূল
হঠাৎ পাওয়া অহংকারে, করে অনেক ভুল।
নিজে ভাঙে নিজের কুল, ভাবে হচ্ছি প্রসার
বর্ষা গেলে জলশুন্য, সবই যেন অসার।
সবাই তখন সে নদীকে, মরা নদী ডাকে
পানি মাছ সবই শূন্য, হাটু জল থাকে।
প্রবাহমান নদী কিন্তু, সমান তালে চলে
অনন্ত যৌবনা সবাই, সে নদীকে বলে।
মানুষেরও যৌবন শক্তির, সত্যিই এতো মিল
নিজেই নিজের পৃথিবীকে, করে তোলে নীল।
ভোগ বিলাসে মত্ত হয়ে, নিজের ক্ষতি করে
কিছু দিন পর রোগ ব্যাধিতে, ঝিমিয়ে সে পড়ে।
হঠাৎ করে জ্বলে উঠে, হঠাৎ থেমে যায়
জ্বরাজীর্ন রোগী হয়, উঠার শক্তি নাই।
অন্য দিকে সে যৌবনকে, কাজে লাগায় চতুর
সীমার মধ্যে করে সবই, হয় না কভু ফতুর।
দেশ ও জাতি সে যুবককে, স্যালুট সবাই করে
মৃত্যর পরও ইতিহাসে, থাকে স্বর্নাক্ষরে।
যৌবনটা তাই কাজে লাগাও, হিসাব করে চলো
বৃদ্ধ কালটা সুখের হবে, তোমায় করবে ফলো।