রাগ
কৌশিক দাস ##
মারওয়া রাগ আলাদা হলেও জৌনপুরী আর সোহিনীর মতো
করে আমরা দুজন রাগ আর অনুরাগে মিশে এদিক ওদিক হলে
প্রতিটা সম্পর্কের ভাঙা সুরগুলো তানপুরার ইলেকটরনিক্স
তারে মিশে গিয়ে সুর তোলে একইরকমভাবে।
সা-রে-গা-মা রিদিমটা সব দেশে এক না হলেও শুনতে সাউন্ডটা
কিন্তু কোনও দেশে তোমার আমার প্রেমের গল্পের মতো করে
আলাদা নয়।
ঠিক যেমন আমার শহরে থাকা সবগুলো মেয়ে আলাদা হলেও
সবার মধ্যে তুমি রয়েছো কেমন যেন কিভাবে! একইভাবে
শরীরের বাইরে-ভিতরে।
বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও প্রতিদিন রাতে বাবার মোবাইলে
ফোন করে সিওর হয়ে নিই, বাড়ি ফিরতে বেশি রাত হলে বাবা
যদি আমায় বকা দেয়।
আমার বন্ধু অমিত যদি জাপান যেত তাহলে ওখানের তেল
আনতে বলতাম তাকে, আমার সামনের শীতকালের রুক্ষ সূক্ষ্ম
ত্বকের যত্ন নিতে।
এখন আমার শরীরে ডেঙ্গু হয়ে প্রতিদিন প্লেটলেট উঠা নামা
করছে কৃষ্ণসার হরিণের মৃগয়া নাভীর গন্ধের মতো।
আজ রাতে আমি ঠিক করেছি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে
আমি বাড়ি ফিরবো, শেষ ট্রেন যদি ছেড়ে যায়! হেঁটে বাড়ি
ফেরা রাস্তায় যদি অ্যালকোহলের নেশায় ঝাপসা চোখে পাড়ার গলি
যদি চিনতে না পারি সে আমায় তখন
রাস্তা দেখাবে মহাভারতের সারথি হয়ে।
স্যাপিওসেক্সুয়াল প্রেমিকদের মতো করে শুধু শারীরিক
সৌন্দর্য্য না আমি একবার তোমার সব ইন্টেলিজেন্সের
খেলায় নিজের সব অনুভূতিগুলোকে সিওর করে নিতে চাই নিজের
বুদ্ধিগুলোকে কামারশালার হাপরে শাণ দিতে দিতে।
প্রতিটি ভালবাসার সম্পর্কে আসলে একটা মহাভারতের
কৌরবদের সাজানো চক্রগুহ থাকে যাতে ভালোবাসার এক
সমর্থক শব্দের নাম হল অভিমন্যু, যে বীর যোদ্ধার মতো প্রবেশ
করে কিন্তু এ থেকে বেরোতে যে গল্প লাগে সেটা শোনার
আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিল প্রতিটি প্রেমিকের পূর্বপুরুষ তাদের মায়ের গর্ভে।