রোগ নিরাময়ে পেঁপে
পেঁপে অতি পরিচিত একটি ফল। আমাদের দেশে প্রায় সব এলাকায়ই পাওয়া যায় ফলটি। প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরা ফলগুলোর মধ্যে কাঁচা পেঁপে অন্যতম। সহজপাচ্য, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও সারা বছর সব জায়গায় পাওয়া যায় বলে সবজি ওফল হিসেবে পেঁপের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
তাই বেশির ভাগ মানুষের খাদ্য তালিকায় স্থান পায় এ ফলটি। তবে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এ ফলটি রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে।
কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারাঅনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। এছাড়াও এ ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ আছে যা শরীরের জন্য অনেক বেশি দরকারী।
পেঁপে অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি। রোগ প্রতিরোধ এবং রোগীর জন্যকাঁচা ও পাকা পেপে খুবই উপকারী। পেঁপের কষে পেপেইন নামক রাসায়নিক পদার্থথাকে যা পেটের পীড়ায় খুব উপকারী। পেপে হজমশক্তি বাড়ায়।
লিভারকে সতেজ করে, গ্যাস্ট্রিক/আলসার ও প্রস্রাব সংক্রান্ত রোগের উপশম করে। কথিত আছে প্রতিদিন মাঝারি আকারের একটি করে পেঁপে একজন পূর্ণ বয়স্কমানুষ খেলে শরীর সুস্থ থাকে, ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না।
পেপের অন্যান্য পুষ্টিগুণ:
১. হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডাক্তাররা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এটা খুবই উপকারী।
২. পেঁপেতে যে আঁশ রয়েছে, সেটা একজন ব্যক্তির দেহের রক্তে ও কোষে বিদ্যমান চর্বিজাতীয় পদার্থ বা কোলেস্টোরেল কমাতে সাহায্য করে।
৩. যারা নিয়মিত বদহজমে আক্রান্ত তাদের জন্য পেঁপে বিশেষভাবে উপকারী।
৪. মলাশয় ক্যান্সার রোধে কার্যকর পেঁপের আঁশ।
৫. শরীর জ্বালাপোড়া থেকে সুস্থ্য থাকতে চাইলে আপনি পেঁপে খেতে পারেন।কারণ, পেঁপের মাঝে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার শরীর জ্বালাপোড়া রোধকরবে।
৬. বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করতে কাজ করে সবার পরিচিত ফল পেঁপে।
৭. ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ পেঁপে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখ।
৮. কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, নারীদের ঋতুকালীন ব্যথা কমায় পেঁপে।