শেষ পারানির ধন
পারমিতা ভট্টাচার্য, তারকেশ্বর, হুগলী ##
করতলে বসিয়ে রাখি গোটা একটা নদী
চোরা স্রোত এসে উঁকি মারে যদি,
ভেসে যাবো কি স্রোতের টানে মোহনায়?
ধূপের মতো পুড়তে পুড়তে জীবন পরবের গান শোনায়।
রাত্রের দ্বিপ্রহরে জেগে উঠি ঘুম থেকে
ধ্যানমুদ্রা ছেড়ে ভেসে যাই অনন্তলোকে,
বৈরাগ্য রোদের মতো বিছিয়ে যায় সমস্ত জীবন জুড়ে
তখন আবেগী এস্রাজ সুর মূর্ছনায় রাত্রিকে রাখে মুড়ে।
অভিনয় শেষ হলে ,খুলে রাখি ছদ্মবেশ
শরীর জুড়ে মেখে নিই গার্হস্থ্য আবেশ,
মনকেমনের স্মৃতি হৃদয়কোঠায় রাখি জমা
জীবনের সব ইতি ঘটে গেলে,পড়ে থাকে শুধু ক্ষমা।
পরিযায়ী ব্যথারা আজ ওম নেয় চন্দ্রালোকের
ব্যর্থ আবেদন নস্যাৎ হয়ে যায় নিয়নের আলোকের,
পরিব্রাজক হতে চায় আকন্ঠ সুরাপানে মজা মন
দিগন্ত ছোঁয়ার আশায় পাথেয় শুধুই শেষ পারানির ধন।।
খুব সুন্দর লিখেছো পারমিতা। যত দিন যাচ্ছে, তোমার কবিতা ততই পরিণত রূপ পাচ্ছে আবেগী ভাবের প্রকাশ কিম্বা শব্দ চয়নের অনিন্দ্য ব্যঞ্জনে । খুব ভালো থেকো।