সারমেয় সমাচার

কোটিপতি কুকুর

গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক অবস্থা যাই হোক সেখানকার কুকুরেরা যদি কোটিপতি হন? অবাক হচ্ছেন? এমন কোটিপতি কুকুরের দেখা মিলেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের পাঞ্চোত গ্রামে। গ্রামটির কুকুরগুলি বেশ কিছু জমির মালিক, যার দাম কোটি কোটি টাকা।

গ্রামটি একটি ঐতিহ্য আছে। যেখানে ধনী পরিবারের ব্যক্তিরা কয়েকটি জমি দান করেন। আর সেই জমি থেকে যে আয় হয় তা এই গ্রামের ৭০ টি কুকুরের পেছনে খরচ করা হয়। কুকুরের কল্যাণে দান করা জমির মূল্য এখন প্রতি বিঘা সাড়ে তিন কোটি টাকা। মোট জমি এখন ২১ বিঘায় পরিণত হয়েছে। গোটা ব্যাপারটা পরিচালনা করে ‘মাধ নি পতি কুতারিয়া ট্রাস্ট’ নামে ওই গ্রামের একটি সংগঠন। যদি এই জমি ভাগ করে দেওয়া হয়, তবে প্রতিটি কুকুরের সম্পত্তি এক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সংগঠনটির নেতা ছগনভাই প্যাটেল জানিয়েছেন, কিছু জমি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এই জমি দান করেছিল। আর তখন থেকে এই প্রথা চালু হয়। সে যাই হোক এর দৌলতে কিন্তু বেশ রসে বশেই আছে গ্রামের সারমেয়কুল।

বিলাসব্যসনের সব উপকরণ মজুত রয়েছে এখানে। ভেলভেটের বিছানা, আরাম করে গা এলিয়ে উপভোগ করার মতো স্পা, ২৪ ঘণ্টা মেডিক্যাল কেয়ার সব একদম হাতের কাছে। কি ভাবছেন, উত্সবের মাসে কয়েকটা রাত কাটিয়ে আসবেন এমন বিলাসবহুল হোটেলে? সেরকম হলে মন্দ হত না, কিন্তু সে হোটেলে রাত্রিবাসের অনুমতি আপনার নেই। আছে শুধু মাত্র আপনার পোষ্যের। তাও সেটি যদি কুকুর হয়, তবেই। শুধুমাত্র কুকুরদের জন্য গুরুগ্রামে সম্প্রতি খোলা হয়েছে একটা আস্ত হোটেল। ভারতে তো বটেই, সারা দক্ষিণ এশিয়ায় এমন উদ্যোগ এই প্রথম। হোটেলের নাম ক্রিটেরাটি।

একরাতের জন্য আপনার আদরের সারমেয়টিকে ক্রিটেরাটিতে রাখতে চাইলে আপনাকে দিতে হবে ৭০ মার্কিন ডলার। দিনের কয়েক ঘণ্টাও রাখতে পারেন। সেরকম ব্যবস্থাও রয়েছে। আহ্লাদে একেবারে আটখানা হয়ে যাবে আপনার কুকুর। ক্রিটেরাটিতে রয়েছে সুইমিং পুল, স্ন্যাক্স উপভোগ করার জন্য ক্যাফে। নিজস্ব ব্যালকনিতে বসে সময় কাটবে ওদের। বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে টিভিরও। আছে বারও, যেখানে কুকুরদের জন্য বিশেষ ভাবে নির্মিত নন অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কস এরও বন্দোবস্ত থাকছে।

বিয়ে ঠিকঠাক। শুধু গাঁটছড়া বাঁধা বাকি। এ সময় বাদ সাধল হবু কনের পোষা কুকুর। হবু বর বললেন, কুকুর হতে পারে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের সাময়িক একটা পর্ব। কিন্তু কনের এক গোঁ, কারও জন্য কুকুরকে তিনি বিসর্জন দিতে পারবেন না। এই তো লেগে গেল কাট্টি। বিয়েটাই হয়ে গেল ভণ্ডুল। ঘটনা বেঙ্গালুরুর। হবু কনের নাম কারিশমা ওয়ালিয়া। তাঁর একটি পোষা কুকুর আছে। বিয়ের কথা শুরু হওয়ার পরই হবু বরের সঙ্গে কুকুরটি নিয়ে কথা ওঠে। বর সাফ সাফ তাঁর মতামত জানিয়ে দেন। কুকুর তাঁদের সারা জীবনের সঙ্গী হতে পারবে না।

প্রত্যুত্তরে কারিশমা ফেবু বার্তায় লেখেন, ‘একটি পোষা কুকুর থাকা জীবনের সাময়িক কোনো ঘটনা নয়। আমি কারও জন্য আমার পোষা কুকুরকে ত্যাগ করতে পারব না।’

এর জবাবে বার্তায় হবু বর লেখেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলছি যে কুকুরটাকেই বিয়ে করে নাও না।’

কারিশমা ও তাঁর হবু বরের এসব খুদে বার্তা বিনিময় এর মধ্যে ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বাদানুবাদ। ফেসবুক ও টুইটারে নানা জনে নানা মন্তব্য করছেন।

কুকুরের বিয়ে

প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে কুকুরের বিয়ে ! উত্তর প্রদেশের কৌশাম্ভি জেলার পানোয়ারা গ্রাম এমন কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে৷ বিশাল প্যান্ডেল বানিয়ে, রীতিমতো ব্যান্ড, বাজা, বারাত ডেকে বিয়ে দেওয়া হল দুই কুকুরের ৷

খবর অনুযায়ী, পানোয়ারা গ্রামের বসন্ত ত্রিপাঠী তার পোষ্য শগুনের সঙ্গে বিয়ে দিলেন পাশের গ্রামের জঙ্গ বাহাদুর সিং এর পোষ্য শগুনিয়ার সঙ্গে ৷ শগুনিয়ার পরনে ছিল লাল রঙের বেনারসি, মাথায় ঝলমলে লাল ওড়না ৷ অন্যদিকে বর সেজে চমক দিয়েছিল শগুনও ৷ অগ্নিসাক্ষী রেখে, রীতিমতো সব প্রথা মেনে হল শগুন-শগুনিয়ার বিয়ে ৷ দেড় হাজার বরযাত্রী সহ প্রায় পাঁচ হাজার নিমন্ত্রিত এসেছিলেন এই বিয়েতে ৷ খাবারের মেন্যুতেও ছিল চমক ৷ কুকুরের বিয়ে দেখতে বিয়ে বাড়িতে উপচে পড়েছিল গোটা গ্রাম ৷

রজনিকান্তের হাত তার পিঠে, সেটা কি যা তা ব্যাপার নাকি। তাই তো সামান্য কুকুর হয়েও সে আজ অসামান্য। তার দাম এখন দু কোটি টাকা মাত্র। পরনে কালো রঙের পাঞ্জাবি, চোখে চশমা। মুখে সাদা দাড়ি। হাতলওয়ালা একটি চেয়ারে পায়ের ওপর পা রেখে বসে আছেন রজনীকান্ত। এক হাত চেয়ারের হাতলে রাখা, অন্য হাত একটি কুকুরের পিঠে। এই দৃশ্যটি তামিল ভাষার ‘কালা’ সিনেমার। সম্প্রতি এই পোস্টারটি প্রকাশিত হয়েছে।

পোস্টারে রজনীকান্ত যে কুকুরটির পিঠে হাতে রেখে বসে আছেন তারই মূল্য এখন ২ কোটি টাকা। কুকুরটির প্রশিক্ষক সাইমন বলেন, ‘‘কালা’ সিনেমায় রজনীকান্তের প্রাণী প্রীতি রয়েছে। এজন্য রাস্তা থেকে এই কুকুরটি আমি তুলে আনি এবং প্রশিক্ষণ দিই। এর নাম মনি। কিন্তু এরই মধ্যে রজনীকান্তের ‘পাগল’ ভক্তরা কুকুরটি কিনতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ এর দাম হেঁকেছেন ২ কোটি টাকা। তবে রজনী ভক্তদের এমন প্রস্তাব আমি প্রত্যাখান করেছি। কারণ এটি আমার কাছে সন্তানের মতো।’’

‘কালা’ সিনেমার পরিচালক পি এ রঞ্জিত অডিশনের মাধ্যমে এই কুকুরটি চূড়ান্ত করেন। ৩০টি কুকুরের মধ্যে থেকে এই কুকুরটি বেছে নেওয়া হয় বলেও জানান প্রাণী প্রশিক্ষক সাইমন। যাই হোক রজনি স্যারের দৌলত মনি এবং সত্যিই সকলের চোখের মণি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 − four =