হেঁটে চলে গেল পাঁচ তলা বাড়ি !
স্থাবর সম্পত্তি হিসেবেই গন্য হয় বাড়ি বা ভবন। কিন্তু এখন আর বাড়িকে স্থাবর বলা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে। কারন একটি পাঁচ তলা বাড়ি যদি আপনার সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যায় তবে তা দেখার পরে বাড়িকে স্থাবর বলবেন কি?
ঠিকই শুনছেন হেঁটে হেঁটে অন্যস্থানে চলে গিয়েছে বিশালাকার পাঁচতলা ভবন। না হলিউড সিনেমার বা ডিজনি ওয়াল্টের কোনও অ্যানিমেশন নয়। বাস্তবেই এই অসাধ্যকে সাধন করেছে চীনের প্রকৌশলীরা। পাঁচতলা ভবনের সেই হেঁটে চলার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা গেছে, ভবনের নিচে অসংখ্য রোবটিং পা, যা ভবনকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। চিনের সাংহাইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়াংপু জেলার বাসিন্দারা চলতি মাসের শুরুতে এই অভাবনীয় ঘটনার সাক্ষী। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের ওপর ভর করে তাদের সামনে দিয়েই ইমারতটি হেঁটে চলে যায়।
জানা গেছে, এটি মূলত ৮৫ বছর পুরনো একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে শহরের নতুন নকশার কারণে ভবনটি সেখানে আর রাখা যাচ্ছিল না। কিন্তু ঐতিহাসিক স্থাপনাটি রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল কর্তৃপক্ষ। ফলে গোটা ভবনটাই মাটি থেকে তুলে নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। এই কাজে ওয়াকিং মেশিন নামে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সাংহাই এভোলিউশন শিফট নামের কোম্পানি ২০১৮ সালে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে।
এর প্রধান কারিগরি সুপারভাইজার ল্যান উজি বলেন, পাঁচ তলা ভবনের নিচে ২০০টি ‘মোবাইল সাপোর্ট’ বসানো হয়। এগুলো রোবটের পায়ের মতো। এটি দুই অংশে বিভক্ত। একটি উপরে উঠলে আরেকটি নিচে নামে। ঠিক মানুষ যেভাবে হাঁটে। এগুলোতে যুক্ত করা সেন্সর দিয়ে ভবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আমাদের দেশে, এমনকি আমাদের রাজ্যেও এর আগে একটি বাড়িকে উঠিয়ে অন্যত্র বসানো হয়েছে। কিন্তু এত সুবিশাল ইমারৎকে হাঁটিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র বসানোর ব্যাপারটি বেশ অভিনব।