বরফের ব্যবহার
শরবত বা ঠান্ডা পানিয়তে একটু বরফের কুচি, ব্যাস জমে যায়। আবার কাটা ছেঁড়াতে ব্যাথা লাগাতেও অনবদ্য বরফ। কিন্তু বরফ যে শুধুমাত্র খাওয়া বা ব্যাথা লাগলে তার উপশম করতে কাজে লাগে তাই নয়, বিভিন্ন ধরণের ঘরোয়া সৌন্দর্যের টিপসেও বরফ দারুন কাজে দেয়৷
সৌন্দর্যের ঘরোয়া টিপসে কী কী উপায়ে বরফ কাজে লাগে আপনার জেনে নিন সে কথা৷
ত্বকের যত্নে বরফ :
শসা ত্বককে ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র রাখতে ব্যবহার করা হয়৷ শসার পেষ্ট জমিয়ে রেখে তা মুখে মাখলে চ্বক পরিষ্কারও হয়৷ ডেড সেল বের করতে সাহায্য করে এই জমিয়ে রাখা শসার পেষ্ট৷ এর ফলে ত্বকে প্রাণ ফিরে আসে৷ শসাকে পেষ্ট করে তাতে এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে দিন৷ তার পর সেটিকে একটি বরফের ট্রের মধ্যে রেখে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন৷ শসার পেষ্টটি জমে গেলে তা বের করে ত্বকে হাল্কা করে বোলান৷ এতে আপনার ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ও আর্দ্রতা ফিরে আসবে৷ প্রতি সপ্তাহে তিনবার করে এটি ব্যবহার করতে পারেন৷
চোখের যত্নে বরফ :
চোখের ফোলা ভাব কমানোর জন্য একটি পাতা ভরতি চা-ব্যাগকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমিয়ে নিন৷ ঠাণ্ডা চা-পাতার বরফ আপনার চোখের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করবে৷ চোখ বেশি ফোলা হলে এক চামচ গ্রিন চা পাতাকে গরম জলে ফুটিয়ে নিন৷ তারপরে ওই চা-পাতা ঠাণ্ডা হলে তাকে ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমতে দিন৷ এতে ডার্ক সার্কেল এবং চোখের ফোলাভাব কম হয়৷
ফেসিয়ালেও বরফ :
লেবুর রসের বরফ ইনস্ট্যান্ট ফেসিয়াল করতে পারে৷ লেবুর রসে থাকে ভিটামিন সি৷ ফলে লেবুর রস ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে৷ একটি লেবুর রস বের করে তা বরফের ট্রে-র মধ্যে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন৷ জমে গেলে বরফটিকে ধীরে ধীরে গালে ও গলায় বোলান৷ এবং তার পরে ঠাণ্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন৷ এর ফলে মুখ পরিষ্কার হবে এবং একটি প্রাকৃতিক গ্লো আসবে৷ এটিও সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন৷
ব্রণরোধে বরফ :
ত্বকের যে সব জায়গায় ব্রণর প্রকোপ দেখা দিচ্ছে সেই জায়গায় বরফ লাগান৷ এক মিনিট ধরে ব্রণর উপরে বরফ ব্যবহার করুন৷ বরফ ফোলা ভাব এবং লাল ভাব কমাতে সাহায্য করে৷ ফলে বরফ ব্যবহার করলে ব্রণ ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়৷
থ্রেডিং শেষে বরফ :
থ্রেডিং বা আইব্রো করার পরে অবশ্যই বরফ ব্যবহার করুন৷ ভ্রুতে থ্রেডিংয়ের ফলে যে লাল ভাব বা ফোলা ভাব তৈরি হয় তা কমে যায় বরফের ব্যবহারের ফলে৷