বন্ধু যখন বেল
লেবু পরিবারের অন্যতম সদস্য বেল। গুণের দিক বেলের কার্যকারিতা লেবুর চেয়ে কম নয়, বরং বেশিই। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাশিয়াম। গরমের দিনে এক গ্লাস বেলের শরবত শরীর ওমনে প্রশান্তি জোগায়।
পেটের নানা রোগ সারাতে দারুন কাজে দেয় বেল। কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে ধন্বন্তরী ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। মুখের ব্রণ সারাতে অন্যতম উপাদান হিসেবে বেল ব্যবহার করা যায়।
হিন্দুধর্মে শিবপূজায় বেলের পাতা ব্যবহার করা হয়। এজন্য হিন্দুদের কাছে বেল শ্রীফল নামে পরিচিত। বেলকাঠকেও পবিত্রজ্ঞান করা হয় বলে কখনও বেলকাঠ পুড়িয়ে রান্না করা হয় না।
প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের শাঁসে রয়েছে –
জল ৫৪.৯৬-৬১.৫ গ্রাম
প্রোটিন ১.৮-২.৬২ গ্রাম
স্নেহ পদার্থ ০.২-০.৩৯ গ্রাম
শর্করা ২৮.১১- ৩১.৮ গ্রাম
ক্যারোটিন ৫৫ মিলি গ্রাম
থায়ামিন ০.১৩ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেবীন ১.১৯ মিলিগ্রাম
এসকরবিক এসিড ৮-৬০ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ১.১ মিলিগ্রাম
টারটারিক এসিড ২.১১ মিলিগ্রাম
বেলের প্রকৃত জন্মস্থান ভারতবর্ষে। ইংরেজিতে বলা হয় Wood Apple। এর ওপরের খোসা কাঠের মতো শক্ত বলে এমন নাম। সংস্কৃত নাম বিল্ব। বৈজ্ঞানিক নামAeglemarmelos Correa (syn. Feroniapellucida Roth, Crataevamarmelos L)।
বড় বেলগাছ লম্বায় ১০ থেকে ১৬ মিটার পর্যন্ত হয়। বেলগাছ ছোট থাকাকালীন এর গায়ে প্রচুর কাঁটা থাকে, গাছ বড় হলে কাঁটা কমে যায়। বেলের ফুল হালকা সবুজ থেকে সাদা রঙের হয়ে থাকে।
ফলের ভেতরের শাঁস ৮-১৫ কোয়া বা খণ্ডে বিভক্ত। প্রতিটি ভাগে চটচটে আঠার সঙ্গে অনেক বীজ লেগে থাকে। বেল কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের থাকে। পেকে গেলে হলদে রঙ ধারণ করে। কচি বেল খাওয়াই উত্তম। তবে পাকা বেলও বেশ উপকারী।