ভুট্টা ভক্ষণের উপকারিতা
পথে ঘাটে যেতে যেতে আমাদের প্রায়শই নজরে পড়ে একটা ছোট্ট উনুনে ভুট্টা পুড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতা। এমনই নানান ভাবে ভুট্টাকে আমরা সকলেই চিনি। আমরা সাধারণত ভুট্টা স্ন্যাকস হিসেবে খেতেই পছন্দ করে থাকি। স্ন্যাকস হিসেবে সব চাইতে পছন্দের ভুট্টার তৈরি খাবার হচ্ছে পপকর্ণ। এছাড়াও কচি ভুট্টা আমরা বেবিকর্ণ নামে সবজি, স্যুপ ইত্যাদিতেও ব্যবহার করে থাকি। আমরা কোনো খাবার বেক করা এবং ফোলানোর জন্য যে বিশেষ উপকরণ কর্ণফ্লাওয়ার ব্যবহার করি তাও ভুট্টা দিয়েই তৈরি।
অনেককেই নানান পদ্ধতিতে ভুট্টা খেতে দেখি, কিন্তু জানিনা ভুট্টা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। ভুট্টা দেখতে বেশ সাধারণ কিছু মনে হলেও এর রয়েছে অসাধারণ খাদ্যগুণ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিছু ভুট্টা ভক্ষণের উপকারিতা।
ওজন কমাতে সাহায্য করে ভুট্টা
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভুট্টায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। ভুট্টার ফাইবার আমাদের অনেকটা সময় পেটে থাকে। এতে খিদে পায় কম। ফলে কম খাওয়া হয়। এতে ওজনের ওপর প্রভাব পড়ে। ওজন কমতে থাকে। সে কারণেই মাখন ছাড়া পপকর্ণকে সব চাইতে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
নিয়মিত ভুট্টা খাওয়ার অভ্যাস করলে চোখের নানা সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়মিত ভুট্টা খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিৎ। ভুট্টার হলুদকার নেলসে রয়েছে অ্যারিটেনয়েডস যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
ভুট্টার রয়েছে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে আনার অসাধারণ গুণ। নিয়মিত ভুট্টা খেলে দেহের কোলেস্টোরলের মাত্রা কমে আসে এবং এতে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। এছাড়াও ভুট্টা কার্ডিওভ্যাস্কুলার যে কোনো সমস্যা থেকে হৃৎপিণ্ডকে রক্ষা করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
ভুট্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভুট্টার তৈরি খাবার এবং ভুট্টা খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।
গর্ভবতী মহিলাদের সুস্বাস্থ্যে
ভুট্টাতে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ ও সি, প্রোটিন ও ফাইবার যা গর্ভের সন্তানের পরিপূর্ণ বিকাশে বেশ সহায়তা করে। এ কারণে গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভুট্টা রাখা অত্যন্ত জরুরী।