আলাপচারিতায় চাঁদনী

কখনো তিনি ‘বিন্দি’ ধারাবাহিকের অত্যাচারিতা বিন্দি আবার কখনো বা ‘কাছে আয় সই’এর দুষ্টু-মিষ্টি নায়িকা। ‘অবেক্ষণ’ পত্রিকার সামনে চাঁদনী সাহা। শুনলেন শঙ্খিনী ।

অবেক্ষণ : বিন্দি বা সই দুটো চরিত্রকেই বড় বেশি বলিদান দিতে হয়েছে। কেরিয়ারের শুরুতেই এমন দুটো চরিত্র !

চাঁদনী : (হেসে ) প্রথমত আমি নিজে বাছিনি। পরিচালক আমার জন্য এ দুটো চরিত্র নির্বাচন করেছেন। তাঁদের মনে হয়েছিল যে পর্দায় এই দুই চরিত্রকে আমি ফুটিয়ে তুলতে পারব। তাই আমি সুযোগ পেয়েছিলাম .এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর যদি বলিদানের কথাই ওঠে তাহলে ভারতীয় নারীর ইমেজটাই তো এমন। তাঁরা তো সর্বত্রই বলিদান দিয়ে গিয়েছেন। সে বাস্তব জীবনেই হোক কি চলচ্চিত্রে। তা না হলে আর আদর্শ নারী। তবে আমার পছন্দের কথা যদি বল তবে দুটো চরিত্রই আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়েছিল। সেই গতানুগতিক রোমান্টিক নায়িকা নয় , একটু আলাদা।

অবেক্ষণ : আচ্ছা বিন্দি আর সই দুজনেই বাধ্য হয়েছে কাছের মানুষের থেকে দুরে থাকতে। এদিক থেকে চরিত্রদুটো অনেকটা এক-ই গোছের হয়ে গেল না ?

চাঁদনী : দেখো প্রথমত ওরা দুজন শুধু নয়, সব মানুষ পরিস্থিতির দাস। তবে দুটো চরিত্রের মধ্যে বিস্তর অমিল-ও রয়েছে। বিন্দি পড়াশোনায় রত্ন। আবার সই দারুন দুষ্টু। আর বিন্দি প্রেমিকা – স্ত্রী-ও. সে মা হতে চলেছিল। আর সই সন্তানের জন্ম না দিয়েও একজনের যশোদা মা হয়ে উঠেছিল। বিন্দির মধ্যে প্রেমিকা ও স্ত্রী সত্তা যতটা সক্রিয় ছিল মাতৃসত্তা ততটা প্রবল ছিল না। আর সই-এর উত্তরণ ঘটেছে। প্রেমিকা থেকে মা হয়ে উঠেছে সে।

অবেক্ষণ :  আচ্ছা সই বা বিন্দির সঙ্গে চাঁদনীর কতটা মিল বা অমিল ?

চাঁদনী : মিল রয়েছে আবার অমিল-ও রয়েছে। বিন্দি আর সই – দুটো মেয়েই খুব ভালো মনের মানুষ। আর চাঁদনী মানে নিজেকে অতটা দরাজ মনের না বললেও এটুকুই বলব যে কারুর ক্ষতি কখনো করিনি। ভালো করতে পারব কিনা জানি না , উল্টে কিনা খারাপ করব। এ কেমন কথা ! তবে এরা দুজন নিজেদের উপর অন্যায় হতে দেখলে অনেক সময় তা মেনে নিয়েছে। আমি কিন্তু এই সব ভুলভাল ব্যাপার একদম মেনে নিতে পারি না। সোজা প্রতিবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে দিই (হাসি )।

অবেক্ষণ : ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ পেলে করবে ?

চাঁদনী : কেন করব না। অভিনয়টা শুধু আমার পেশা নয় , প্যাশন-ও বটে। তবে চরিত্রটা অবশ্যই আমার মনোমতো হতে হবে।

অবেক্ষণ : কোনো স্বপ্নের চরিত্র ?

চাঁদনী :  “ফ্যাশন’ ছবিতে কঙ্গনা রানাওয়াতের চরিত্র। অসাধারণ ! এইরকম কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলে তা আমার অভিনয় জীবনের এক মাইলস্টোন হবে বলে আমি মনে করি। দেখা যাক ঈশ্বর সে সুযোগ দেন কী না।

অবেক্ষণ : কি ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ কর ? কমার্শিয়াল না আর্ট ফিল্ম ?

চাঁদনী : আমার তো আর্ট ফিল্ম দেখতেই ভালো লাগে। তা বলে কমার্শিয়াল ছবি দেখি না , এমনটা কিন্তু নয়।

অবেক্ষণ :  বিয়ে করছ কবে ? কোনো বিশেষ বন্ধু …

চাঁদনী : (একটু থেমে ) দেখো প্রেম বল বা বিয়ে এসব ব্যাপারে আমি একটু ভাগ্যে বিশ্বাসী। তেমন প্রিয় বন্ধু আমার একজন রয়েছেন। তবে সংসারী হতে দেরী আছে। দেখা যাক ঈশ্বর কখন বিয়ে নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। (হাসি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + 8 =

preload imagepreload image