যানবাহনের জানার কথা

আমাদের এই বিভাগটি অন্য বিভাগের চাইতে একটু আলাদা। এই বিভাগের আলোচ্য বিষয় পথে চলার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বা আইন সম্পর্কে জানা। পাশাপাশি যানবাহন সংক্রান্ত যে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন রয়েছে তাও জেনে রাখা। এই বিভাগে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবেন সুনীত চক্রবর্তী। যারা একটু খোঁজ খবর রাখের তাদের কাছে সুনীত চক্রবর্তী নামটা অজানা নয়। ব্যাক গিয়ারে কয়েক হাজার কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে সুনীতবাবু ইতিমধ্যেই লিমকা বুক অফ রেকর্ডস-এ নিজের নাম তুলে ফেলেছেন, দুর্গাপুর থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে ভারত-পাকিস্তান ওয়াঘা সীমান্ত, বোলপুর থেকে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত, কলকাতা থেকে মুম্বই, সুনীতের ঝুলিতে রয়েছে ব্যাকগিয়ারে এমনই সব বিস্ময়কর অভিযানে সাফল্যের পালক। আমাদের পত্রিকার প্রচ্ছদে ইউটিউব লিংক-এ সুনীতের ব্যাকগিয়ার অভিযানকে নিয়ে পলাশ মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় তৈরি তথ্যচিত্র ”পিছুটানে”-র প্রথম পর্ব দেওয়া রয়েছে।

সুনীত, পথ এবং যানবাহন সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোকপাত করবেন এখানে। সেই সঙ্গে আপনাদের পাঠানো যানবাহন সংক্রান্ত নানা প্রশ্নেরও উত্তর দেবেন। প্রথমবারে এই বিভাগে থাকছে সুনীত চক্রবর্তীর লেখা একটি ছড়া।

দুর্ঘটনায় মরছে জেনো
দুই মিনিটে একটি ভাই,
ব্যস্ততা, সেলফোনটি ও
পথের ভাষা না জানাটাই।
লিমকা রেকর্ড পেয়ে গেলাম,
ভাঙবো বিশ্ব রেকর্ড গড়ে
লজ্জা তোমায় পেতেই হবে
যারা, হাজার জীবন ফেলছো মেরে।
সাইন সিগনাল দেখাবে তোমায়
কোন পথেতে যাবে,
জেনে বুঝে দিলে সম্মান
যাত্রা শুভ হবে।
তথ্য, বাধ্য, সতর্কতা
পথ সঙ্কেতে এই তিন,
পথের ধারেই থাকবে তারা
চালাও দেখে প্রতিদিন।
জেব্রা ক্রসিং ও বাঁদিক দিয়ে
পথ চলতে হয়,
সাইকেল বা পথচারী
ডাইনে কভু নয়।
ওভারটেকে মোটেই না
করতে হলে হর্নে,
আগের গাড়ি দেখালে হাত
তবেই সম্মুখ পানে।
লাল বাতিতে দাঁড়াতে হয়
সবুজ বাতিতে যাই,
ট্র্যাফিক পুলিশ বন্ধু বটে
রাখবে মনে সেটাই।
প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং
রেল লাইনের ধারে,
ত্রিশ ফুট আগেই নেমে
দেখতে যাও তারে।
অ্যাম্বুলেন্স, দমকল, পুলিশ
যদি তারে দেখো,
জেনো রোগী না হয় বিপদ
আগেই তাদের ছাড়ো।
নেশা করে গাড়ি চালিয়ে
দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে,
দ্রুতগতিতে চালিয়ে গাড়ি
খাটে শুয়ে দিন গুনছে।
তোমরা যদি দ্রুতগতিতে
দুর্ঘটনা ঘটাও এমন,
সেই গতিতেই নিয়ম মেনে
উল্টোপথে শিক্ষা তোমায় দিলাম কেমন।
ইট বা পাথর দরকারেতে
লাগে যদি গাড়ির কাজে,
কাজ ফুরালে দেখবে ভাই
যেওনা ফেলে পথের মাঝে।
মোটরবাইক, স্কুটার কেবল
দুই আরোহীরই বশে,
হেলমেট পরা চাই-ই চাই
কখনো নয় পাশে।
জেনে রেখ কাটলে বিড়াল
দিনটা যাবে খুশির,
হঠাৎ থেমে ডেকো না বিপদ
কেড়োনা প্রাণ টমি বা পুষির।
এসো আমরা শপথ নিই
ভুল কাজ নয় আর,
ভাঙবো না নিয়ম নীতি
উপকারে সব্বার।
লিমকা রেকর্ড, বিশ্ব রেকর্ড
এসব কেবল বইয়ের পড়া
আসল চেষ্টা শিক্ষা দেওয়াই
দুর্ঘটনাহীন বিশ্ব গড়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − five =