দারিদ্র্য
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়
##
তুমি জানতে চাওনি কখনো ঠিক কি ভাবে আমার দিন কাটে?
বুকের ভেতর দমক দিয়ে ওঠে ঝড় প্রতিটা দিন প্রতিটা রাতে ।
আমি শুনেছি সরোবরের কথা ঘাসের বুকে চিত হয়ে শুয়ে ।
চৈত্রের দুপুরে নাভিছেড়া খিদে নিয়ে ছুড়ে দিয়েছি সান্ত্বনা স্বপ্নকে ধুয়ে ।
তোমাকে তো চিনি আজ বহুদিন,সময়ের সাগর থেকে যখন উঠে এল অসময়।
তোমাকে চিনে নিলাম আবার,তোমার তুমি র সাথে আমার নতুন পরিচয় ।
আমি আজ ও বেঁচে থাকি আলোর মতন বিদ্যুতে বিদ্যুতে ।
পেটে খিদে নিয়ে ছুটেছি খাবারের টানে তবু দিই নি আমার স্নেহ হাত তোমাকে ছুঁতে ।
শব দেহের মত দাহ হয়ে যায় পাপ পুণ্যের জ্ঞান,
যখন তোমার বুকের ভিতর শতেক যাত্রী চাইবে পরিত্রাণ ।
খ্যাপার মতন ছড়িয়ে পড়ে বাচার খিদে অগণিত কোষের ভেতরে।
স্হিরতা রেখেছি অলিন্দের ভাজে শব্দ আর অলঙ্কার
আমার কবিতার থেকে ধিরে ধিরে গেছে সরে ।
জানি উঁচু হয়েছে পাহাড়, তবু নোয়াব না মাথা তোমার দু পায়ে ।
তুমি যাকে পাওনা দেখতে সে আমার দর্শন,
লেগে থাক এই দারিদ্র্যতা অভিশাপ হয়ে গায় ।
স্পর্শহীন দুঃখ তুমি ও পাবে আকাশ ও পৃথিবী এক করে দিলে ।
তোমার আদর্শ সুপ্ত থাকে অন্যের বুকে,মৃত্যু হয়েছে কবেই তোমার,
তুমি ভাবো আসলে জীবিত ছিলে।