মুক্তি
ইভা ঘোষ দাশগুপ্ত, দমদম, কলকাতা
বড়ো ইচ্ছে জানো , জানো আমার বড়ো সাধ গো,
মেঘের ভেলায় চুপিচুপি নীলসীমানায় ডুব দিয়ে,
ওখান থেকে পৃথিবীকে দেখিl
শুধু দেখবো, কে আসল, আর কেই বা মেকি!
পরীর ডানায় যাবো উড়ে তারারানীর দেশে ‘মুক্তি’-‘মুক্তি ‘ গন্ধ মেখে ঘুরবো পরীর বেশে।
পিঁপড়ে সমান মানুষ গুলো কি বলে অন্তরে?
প্যাঁচে ফেলে জেনে নেবো ছোট্ট ছু-মন্তরে ।
জানো স্বপ্ন দেখে, তাতেও বিষ, হিংসা চতুর্মুখি
প্ল্যান করব কেমন করে সে গুলো কে রুখি।
সবার মাঝে থেকে তো আর দেখা গেলো না
আমার মাঝেও হিংসাবিষের নানান ছলনা।
পরী আমায় শিখিয়ে দেবে, মানবোত্তর কিছু
বিশ্বশান্তি ঝরবে ধরায় , সবার মনের পিছু।
নীলের শোভায় হারিয়ে মানিক কেবল নেব মুঠোয়
মুক্তিসুধা সুপ্তিবুকে আনন্দে দেখ লুটোয়।
হঠাৎ শুনি, ” মুক্তি, ওরে মুক্তি কোথায় আছে?
আপনি প্রভু সৃষ্টিবাঁধন পরে বাঁধা সবার কাছেl”
কে দিলো গো থামিয়ে, স্বপ্নসোপান ভাঙিয়ে?
দেখি, রক্তজবা সূয্যিমামা, নীলসীমানা রাঙিয়ে।
কখন কোথায় ছিলাম তা আর কিচ্ছুটি নেই মনে
রোদ পড়েছে ঝিলমিলিয়ে, ভোরে,ঘরের কোনে।
মুক্তি আমার উড়ে গেলো, স্বপ্ন নিলো কেড়ে ,
আবার আমি মানুষ হলাম, অনেক সুখ ছেড়ে।