জলের খোঁজে
পারমিতা ভট্টাচার্য
মাটির কাছে কাঁদতে চেয়ে এক টুকরো কোল পাইনি;
আমার জন্য ঘাস ছিল, না ,পাথর ছিল–টের পাইনি;
আজকে যখন বৃষ্টি এলো ,বন কাঁপিয়ে ,ভয় পাইনি;
শুধুই শিরার শোণিত স্রোতে লজ্জা রাখার ঠাঁই পাইনি!
এ তো শুধুই আত্মকথন! বক্সে ছোঁড়া কনফেশন!
গির্জাঘরের মোমদানিতে ছাই হয়ে যায় একলা মন!
ঘন্টা শেষের ক্যারোল বাজে,শঙ্কা লুকোয় ঈশান কোণ
টুকরো আলোয় হাতছানি দেয় দৃশ্যগুলো অল্পক্ষণ!
ভুল যদি হয়,ভুলের মাশুল
মেয়েই দেবে,একলা ঋণে–
রাত ঘনালে তারার আলোয়
ম্যাজাই, তাকে নেবেই চিনে..
এখন আমি ঘাটের সিঁড়ি,এখন আমি সবুজ পানায়
স্থবির কোনো স্রোতস্বিনী,– বটের চারার শিকড়, কানায়!
এখন আমি কাঁটায় ক্ষত, এখন আমি গোলাপ ডালে
একটা চড়ুই পাখি হয়ে কিচির মিচির গ্রীষ্মকালে!
মাটির কাছে কাঁদতে গেলাম,মুখ ফিরিয়ে রইলো ঘাস।
বুকের ভেতর একটা পাথর, গড়াচ্ছে দিন- হপ্তা- মাস।
ও নদী তুই জল দিলিনা,আরও অনেক কান্না চাস?
পাথর গড়ায় মেয়ের বুকে,নদীর বুকে দীর্ঘশ্বাস!!!