শ্যামাঞ্চল
জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
আদি অনন্ত কে সাক্ষী রেখে অজস্র রূপ প্রতিবিম্বিত হয়ে ওঠে সামগ্রিকতা কে অক্ষুণ্ণ রেখে।
যেখানে পাল্টে যায় বর্ণ পাল্টে যায় ধর্ম বেঁচে থাকে আত্মা ।
তাই তো ব্রক্ষ বেশ জাগ্রত হয় অধীর অন্ধকারে।হঠাৎই বুকের কাছে জাপটে ধরে আঁচল।
যেমন জলের বিম্ব ফিরে যায় জলের কাছে, তেমনি কানাই ও মুরলীধর দূরে থেকেও মিলে মিশে আছে ।
কখনও হৃদয়ে ক্ষরা আবার কখনো বা বানভাসি।
কখনও সংসার বিমুখ সন্ন্যাসী আবার কখনও রাধার বংশীধারী ।
আদ্যোপান্ত জুরে শরীরের বুকে জেগে ওঠে মহা নির্বানের গান ।
কোথাও ভিতরে ভিতরে জমে থাকে কাদা মাটি নদী,গানের মধ্যে জেগে ওঠে শরীরের প্রাণ ।
অপ্রস্তুত স্মৃতিকে বুকেতে জ্বালিয়ে ছিন্ন কপালে আঁকা হয় চন্দন তিলক ।
বনমালী তীর থেকে দাঁড়িয়ে দেখেন পৃথিবীর শেষ,
চাঁদের আকাশে চাঁদ স্হির রাই এর সাথে তার নিবিড় মিলন ।