হঠাৎ পৌষে

সুজয় ভদ্র, কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান

 

এই পৌষে উত্তরায়ণ-এর আলোর ছিটে

শুষেছিল দিন-আনি-দিন-খাই শহুরে আবাদি কলিযুগের সঞ্জীবনী ভেবে;

আর পৌষের সর্বনাশ টুক করে এলো এলোপাথাড়ি ভিড়ের ভিতর থেকে

কেমন যেন দেখতে ছিল—

একবার বুঝি সত্যিকার আগুন-আলো মানব আর,

জীর্ণ কুটিরের সিগ্ধ বাঙালি মানবী

ঘর করেছিল রূপকথার গল্পের মতো;

আর গল্পের মতোই শকুন্তলা হয়ে

ছিন্ন ভ্রুণ পড়েছিল এই বাংলার অচেনা এক—-বধূর জঠরে;

অত ভিড় ট্রেনের ভিতরেও কেমন করে

বসা হয়েছিল মুখোমুখি;

এই পৌষ-মাঘের বাংলায় ক্ষেত পুড়েছিলো,

অনেক ন্যাংটো ছেলেমেয়ে দৌড়েছিলো ট্রেনের পাশ দিয়ে

অনেকবার ভালোলাগার গন্ধটা বলেছিল—-বসন্ত আসবে—পলাশের লাল,রক্তের লাল বলে চিনে নেবে;

কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ওর নামার স্টেশন চলে এলো;

উত্তরায়নের সূর্য আর একবার স্মিত হেসে বলে,

বসন্ত আসবে—পলাশের লালে নিজেরে চিনবে।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 6 =