ঘন্টা দাদুর কীর্তি
প্রণব কুমার চক্রবর্তী, বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা
দাদুর গলায় ঘন্টা বাঁধা যখন তিনি নাড়েন,
দিদা তখন ছুটে গিয়ে থালায় ভাত বাড়েন৷
দেরি হলেই চেঁচিয়ে তিনি করেন পাড়া ব্যাস্ত,
দিদা তাই ভয়ে ভয়ে সদাই থাকেন ত্রস্ত!
চুন থেকে তার পান খসলেই বেজেই চলে ঘন্টা,
দৌড়ে দৌড়ে সারাক্ষন দিদার যায় যে জানটা!
দাদু বলেন – কী রেঁধেছো ভাতের সাথে সবজি?
খেতে বসে দেখবো কিন্তু ডুবিয়ে আমার কবজি!
চিবিয়ে খেতে পারেনা সে নেইকো মোটে দাঁত,
মাছ মাংস দেখলে পাতে সে ভয়েই কুপোকাত!
দাদুর তাই খাদ্য শুধু তরল ভাত আর সবজি,
সাপুৎ সুপুৎ খান গো দাদু ডুবিয়ে তার কবজি!
রোজ দাদুর এই কাজেতে দিদা খচে লাল ,
ঠিক করে সব বন্দ রেখে করবে হরতাল!
হয় দাদুকে ছাড়তে হবে ওসব ঝক্কি বায়না,
নাহলে সে চলেই যাবে বাপের বাড়ি – চায়না!
গেলে কিন্তু ফিরবে নাকো থেকেই যাবে তথা,
যতই তখন ঘন্টা বাজুক শুনবে না কেউ কথা!
ঠিক করলো গলায় দাদু রাখবে নাকো ঘন্টা,
চলবে মেনে দিদার কথা বাঁচাতে শুধু জানটা!
বুড়োর কথা শুনেই বুড়ি – লাজ লজ্জ্বা ভুলে,
নাচতে থাকেন খেমটা নাচ , দু হাত ঊর্ধে তুলে!