৩২ বার হেরেও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী
১৯ টি বার ঘায়েল হয়ে শেষে ম্যাট্রিক পরীক্ষা আর দেননি সুকুমার রায়ের সৎপাত্র গঙ্গারাম। কিন্তু ওড়িশার ড. শ্যাম বাবু সুবুধি গঙ্গারামের চেয়েও কয়েক কাঠি উপর দিয়ে যান। ৩২ বার নির্বাচনে হেরেও তিনি ফের প্রার্থী হয়েছেন। ১৯৬২ সাল থেকে তিনি নির্বাচনী ময়দানে। প্রার্থী হয়েছেন বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে। আর সবমিলিয়ে হেরেছেন ৩২ বার। তারপরও থেমে যাননি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আবারও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৮৪ বছর বয়সী শ্যাম বাবু। এবার লড়াই করছেন উড়িষ্যার আসকা ও বেরহামপুর আসন থেকে।
ড. শ্যামবাবু ১৯৬২ সাল থেকে লোকসভা ও রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। শ্যাম বাবু বলেন, ‘৩২ বার আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি এবং প্রতিবারই হেরেছি; কিন্তু তারপরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই সংগ্রাম আমাকে চালিয়ে যেতে হবে।’
তার নির্বাচনী প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট, যাতে লেখা ‘প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী’।
তিনি বলেন, ‘হারি জিতি পরোয়া করি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েই যাব।’
অনেকেই শ্যাম বাবুর সাহসী পদক্ষেপের প্রসংশা করছেন। তিনি একাই ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চান। সব ধরনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। নির্বাচন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত হেরেছেন ৩২ বার। কিন্তু তাতেও দমে যাননি। এবার লোকসভা নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে জিতলে লড়বেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে। এমন ঘোষণাই দিয়েছেন ড. শ্যাম বাবু সুবুধি।
জীবনের অন্তিম সময়ে এসে সর্বোচ্চ পদে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্যাম বাবু। প্রতিবার নির্বাচনী লড়াইয়ে হারলেও এবার জয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী অশীতিপর এই “যুবক”। জয়ী হলেই প্রার্থী হবেন সরকারের সর্বোচ্চ পদে। বারবার প্রার্থী হওয়ার একটিই কারণ- রাজ্যের বা দেশের দুর্নীতিকে নির্মূল করা।
শ্যাম বাবু বলেন, ‘৩২ বার আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি এবং প্রতিবারই হেরেছি। কিন্তু তার পরও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই সংগ্রাম আমাকে চালিয়ে যেতে হবে।’
অনেকেই শ্যাম বাবুর সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন। তিনি একাই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন।