মজবুরি
অ-নিরুদ্ধ সুব্রত, বনগাঁ, উত্তর ২৪পরগণা ##
পাহাড়ি অসমতলে ফুটে থাকা অসৌখিন ফুলের মতো, আদিবাসীদের মেয়ে সুখীয়া
সরু ঝরার মতো নেমে এসেছিল পাইন পাতার ঝির ঝিরে বাতাসে
খালি পায়ে এবড়োখেবড়ো পাথর দলে, ঝুঁটি ওয়ালা পাখির মেজাজে
প্রথমে থমকে দাঁড়িয়ে, তার পর এক পশলা বৃষ্টির মতো হেসে, তবু
যেন হঠাৎ ভাবান্তর, যেন মেঘ করে আসা গুমোট, ক্ষোভ দুঃখ রাগ
— এই মাস্টার, তুই এতো বোকা কেনে ? তোর জ্ঞান নাই ?
প্রশ্নের উত্তর ছিলো না, এ প্রশ্ন ছিলো কোথায়—- জানা ছিলো না তাও
কিন্তু সে সাময়িক বিমূঢ়তা, পাহাড় নদী বৃক্ষ পালক পাতা, স্তব্ধতা
আকস্মিক মেঘ ফেটে এক চিলতে রোদ্দুর — হা হা মাস্টার, তুই একটা মাথা মোটা
দেখিস হামার মাথায় সলাহবাই ভর করবেক, হামি পাগল হবো, মাথা ঝাকাইনবো,
সে আওয়াজ করে সারা তালুক শুনাইন দিবো— আজ থিকে বন্ধ সব শালগাছ কাটা ।
সেই ছিল তার কথা সৃজন বর্ষার সুখে– এক গভীর গ্রীষ্ম ভরা উজ্জ্বল কষ্টিপাথরে
পাহাড়ি উচ্চতা থেকে নামতে নামতে সরল প্রৌঢ় সমতলে আজকের বুকেহাঁটা
শালগাছ নিঃশেষ হয়ে গেছে কত,সারি সারি দাঁড়িয়েছে কত চারা
মেঘ দিয়েছে উপত্যকায় মোহময় স্নান, অথচ সুখীয়া প্রশ্ন তোর সহজিয়া
এখনও হৃদয়ে এবড়োখেবড়ো খাদে ঝুঁটি ওয়ালা পাখির মেজাজে,এক নিরীহ বৃষ্টি ফোঁটা ।