দারুণ অগ্নিবাণে
পারমিতা ভট্টাচার্য, তারকেশ্বর, হুগলী
আমাকে একটা নির্ভেজাল জীবন সৈকত দাও ভগবান,
যেখানে, দারুণ তপ্তবাণেও
আমি চাই শীতল একটা উঠোন….
দারুণ অগ্নিবাণে বট বৃক্ষের ছায়া,
মনের ভিতর তবুও বয় ফল্গু নদীর মায়া।
জ্বলন্ত দ্বিপ্রহরে চিকচিক করে দূরে মরীচিকা,
তীব্র দাবদাহে শুষ্ক আজি জল বিভাজিকা।
চাতকের বুক ফাটা তৃষিত হাহাকারে,
বৈশাখের অগ্নিবাণের নিদারুণ অহংকারে….
আমি তোমাকে খুঁজি,
আর দখিনা বাতাস গায়ে মেখে বুঝি….
জীবন সৈকতে যখন গঙ্গার হাওয়া বয়,
তখনই জীবন কাব্যময় হয়।
বৈশাখী বিকালে দখিনা বাতাস করে আনাগোনা,
জানি হবে দেখা, আবার স্বপ্নের জাল বোনা।
শুষ্ক কাঠ ফাটা মাটি, তবু তরু দাঁড়িয়ে অক্লেশে,
কিশলয়ে সজ্জিত দেহ, সুন্দর সবুজ বেশে।
ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম নেয়, শ্রান্ত বটের নিচে,
দখিনা বাতাস কাল বৈশাখী হয় তপ্ত বাতাস পিছে।
তবুও এই গ্রীষ্ম বর্ষার আগমনি শোনায় কানে কানে,
গ্রীষ্মের দাবদাহে দারুণ অগ্নিবাণে।।