তুমি এসেছিলে

সায়ন্তনের ইতিকথা, জগৎবল্লভপুর, হাওড়া

তোমায় কথা দিয়েছিলাম,

তোমায় নিয়ে আস্ত একটা কবিতা লিখব।

তা আর পারলাম কই..!

কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখি,

ঠিক করতে করতেই বেলা গেল পড়ে।

তুমি কোথাও বুঝে গিয়েছিলে আমায়,

খুঁজে ছিলে সহস্র পাথরের নিচে লুকিয়ে থাকা নরম মনটাকে।

তোমার ওই সুরমা টানা চোখ সার্থক করেছিল তোমার ‘আঁখি’ নামকরণ।

এক ঢাল কালো চুল আমায় আকাশ কুসুম ভাবিয়েছিল গোটা সপ্তাহ ধরে। 

তোমার লেখা কবিতা গুলো আমায় জাপটে ধরতো প্রতি সন্ধ্যায়, 

এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হয়েছিল তোমার কন্ঠের সুরে। 

আমি মাতালের মত বিভর হয়ে পড়েছিলাম পলাশের নীচে, 

প্রহরের পর প্রহর গুনতাম নির্ঘুম প্রহরীর মতোন। 

আর তারপর তোমার নেশায় টলতে টলতে যখন লেখার টেবিলে পৌঁছলাম, 

দেখলাম পড়ে আছে রক্তের মতো লাল গোলাপ আর কিছু টগরের চিহ্ন। 

প্রমাণ দিয়ে গেছিলে তুমি এসেছিল, এসেছিল আমার ঘরে। 

পূর্ণিমার চন্দ্রকীরণ সঙ্গে নিয়ে সে রাত জেগেছিলে আমার জন্য। 

আমিই আসতে দেরি করেছি, তাই তোমার নৌকা বাঁক নিয়েছে অন্য নতুন পারে। 

নীলচে ঠেউ তুলে অজস্র মুক্ত বিহীন ঝিনুক উপহার দিয়েছিলে সেই অধ্যায়। 

অপেক্ষা করনি আমার উত্তরের… ॥

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 11 =