আস্ত একটি সেতু চুরি!
কথায় আছে পুকুর চুরি। জাদুকররা অনেক সময় বহু বিখ্যাত সৌধ বা বড় বড় জিনিস গায়েব করে দেখিয়েছেন। তবে সেগুলি সবই বিজ্ঞানের কৌশল, কিন্তু তাই বলে একটা আস্ত সেতু কি ভাবে রাতারাতি গায়েব হয়ে যেতে পারে সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলে। জানা গিয়েছে, সেখানে নাকি রাতারাতি ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে ৫৬ টন ওজনের একটি গোটা সেতু। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, চুরি করা হয়েছে ওই সেতুর অংশ। কিন্তু কি ভাবে ঘটতে পারে সেতু চুরির ঘটনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমা প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার মুর্মানস্ক অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত উমবা নদীর উপর তৈরি এই ব্রিজটির মাঝের একটা বড় অংশ সম্প্রতি খুলে নেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে প্রথম এই ব্রিজের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সেই ভাঙা সেতুর ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছিল যে, ভাঙা সেতুর কিছু অংশ জলের নীচে পড়ে রয়েছে। দিন কয়েক বাদে দেখা যায় যে, জলের মধ্যে ভাঙা সেতুর কোনও চিহ্ন মাত্র নেই। ভেঙে যাওয়া ওই সেতুর অংশ কোথায় গেল, তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাশিয়ায়।
এলাকাবাসীদের বকূদবব, সম্প্রতি এই অঞ্চলে এমন কোনও দুর্যোগ ঘটেনি যে সেতুটি ভেঙ্গে নদীর জলে ভেসে যেতে পারে কিংবা স্প্যান এবং পিলারের অংশটি উধাও হয়ে যেতে পারে। কি ভাবে এত লম্বা আর এত ভারী একটি সেতু নিঃশব্দে চুরি হয়ে গেল এ নিয়ে নানা ধরনের রহস্য ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা জানানো হয়েছে কিরোভস্ক থানায়। তবে কি কোনও দুর্ঘটনা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, নাকি সত্যি সত্যি চুরি গিয়েছে ওই ব্রিজ- তা নিয়ে এখনও ধন্দে তদন্তকারদী দল। প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে, সম্ভবত ওই ব্রিজের লোহার অংশ বিক্রি করার জন্য কেউ চুরি করে নিয়েছে আস্ত ব্রিজের ওই অংশটাই। তবে কে বা কারা এই চুরির পিছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।