প্রথম সর্গ
শ্যামলী গুহরায় ##
মৎস্যকন্যা জন্মেছিলাম ধীবর -রাজার ঘরে
মৃদু মন্দ বইছিল ঝড়, একলা সাগর -পাড়ে
হাতে আমার বৈঠা ছিল,শরীর মৎস্যগন্ধা
অনঙ্গ-দেব তোলেন যে শর আমি শরবিদ্ধা
সারাদিনের পারাপারে বৈঠা টানি প্রায়
জল কেবলি হাওয়ার সাথে প্রাণের গান গায়।
হঠাৎ যেন আবেশ নামে ঋষির মধুর স্বরে
পরাশরে ডাকছে আমায় বৈঠা গ্রহণ করে
উধাও আমার মৎস্যগন্ধ পদ্ম-সুবাস ঝরে
ঋষির শরীর আমার শরীর একাঙ্গ অন্তরে
সৃষ্টি হলেন বেদব্যাস মায়ের গর্ভাগারে
যোজনগন্ধা হলাম আমি পরাশরের বরে।
উধাও ঋষি ধোঁয়ার সাথে কুন্ডলী পাকায়
সত্যবতী সজল চোখে ভাবনা নিয়ে ধায়।
বৈঠা গেল নায়ের সাথে,রাজ্যপাটে মন
মৎস্যগন্ধ পদ্মবনে হারাল প্রাণ মন।
মহাকাব্য লেখেন পুত্র ভরত-বংশ নিয়ে
গণপতি হলেন বাহন কলমে ভর দিয়ে
এমনি ভাবে ঋষি পুত্রের মনস্ -গ্রন্থি খুলে
সৃষ্ট হলো ‘মহাভারত’, অমৃতেরই স্থলে।।