রাখী-ফুল
পবিত্র কুমার ভক্তা, খেজুরী, পূর্ব মেদিনীপুর ##
আয় হাতে হাতে সুতো বাঁধি…
বন্ধুত্বের দলিলে একটা সুঁতো বেঁধে দিলে টান
নতুন প্রানের সঞ্জীবনী। তপ্ত মরুর সম্পর্কে
বোনের একটা রঙিন ফলক, কুয়াশা সরিয়ে আলো ফোটায়।
ইউনিভার্সিটিতে নাজমুল ব্যাগভর্তি নানা রকমের রাখী নিয়ে আসতো
আর তার কবজি থেকে থরে-বিথরে ভরে যেত কনুইয়ের কিছুটা ওপর…
রাধা’দিকে সকাল থেকে রাখী বুনতে দেখতাম। বাগান থেকে তুলে
আনা জবা-পাতা, রজনীগন্ধা কিংবা গোলাপ। ভজা-ভাই এনে দিত
প্রচুর রাখী-ফুল, শুধু মাঝদিয়ে টোপ বসালেই রাখী।
কি মিষ্টি গন্ধ, শুধু সুতো বাধলেই
সম্পর্ক রঙিন হোত, ঝলমলে
রাখীর দেশে যখন কার্ফু চলে, মন বড় বিষন্ন
স্কুলের বন্ধু প্রলয়, কামরান আর আলি দুজনে দু’দিকে
আমি সময় রোমন্থন করতে করতে শুনিয়ার চরের দিকে হাঁটি
রসুলপুরের নদীপাড়ে অসংখ্য রাখী-ফুল ফুটে আছে
ডালিয়া’দি অনেক দূরে, কেবা যাবে রাখী-ফুল তুলতে?
ভজা-ভায়ের সময় কি আছে? সকাল থেকে মালা গেঁথেও
শেষ করা যাবেনা এত ফুল ফুটে আছে। ইচ্ছে করে যে বান্ধবী
সরস্বতী পুজোয় শুধুই মালা গাঁথত, চৈতালীর বাড়ীতে রাখী-ফুল দিয়ে আসি।
আয় হাতে হাতে সুতো বাঁধি…