গরমে ঘামাচি মুক্তির উপায়
গরমের অন্যতম একটি দুশ্চিন্তার নাম ঘামাচি। কেননা গরম এলেই বেড়ে যায় ঘামাচির অত্যাচার। দেখা যায় গরম আসার সাথে সাথে এই ঘামাচি নিয়ে ভোগান্তিতে পরতে হয় অনেককেই। দেহের ঘর্মগ্রন্থিগুলোর মুখ যখন ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার জন্য আটকে যায়, তখন ঘাম বের হতে না পেরে সেখানে আটকে গিয়ে ঘামাচি তৈরী হয়। সাধারণত পিঠ, বাহু, পেট এসব স্থানে ঘামাচি দেখা দিলেও অনেকের মুখে, কপালেও অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি দেখা দেয়। এর সাথে যুক্ত হয় চুলকানি ও নানা রকম সংক্রমণ।
অনেকে বিভিন্ন ধরণের পাউডার ব্যবহার করেও পান না প্রতিকার। ঘামাচির কারণে বিব্রত হন অনেকে। কারণ ঘামাচি চুলকানি যেমন অসহ্যকর তেমনি এটা আপনার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত করে। সাথে সাথে দৈহিক সৌন্দর্যও নষ্ট করে।
গরমে ঘাড়, পিঠ, গলা, হাত, মুখ সহ শরীরের নানা স্থানে লাল ছোট ছোট ঘামাচি দেখা দেয়। ঘামাচির কারণে অসহ্য রকম চুলকানিও হয়।
তাই আসুন জেনে নেই ঘামাচি তাড়ানোর ঘরোয়া কিছু উপায়-
বরফের সেঁক
ঘামাচি প্রতিরোধে বরফ ভালো কাজ করে। বরফ একটি কাপড়ে পেঁচিয়ে ঘামাচির স্থানে ৫ থেকে ১০ মিনিট সেঁক দিন। এটি ঘামাচি মেরে ফেলে লাল হওয়া কমিয়ে দিয়ে থাকে।
বেসন
বেসন এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকানি দূর করে ঘামাচি দূর করে দেবে।
মুলতানি মাটি
পাঁচ টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে দুই অথবা তিন টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নিম
এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়ো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। এছাড়া এক মুঠো নিমের পাতা দুই কাপ পানিতে ২০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে এই জলেতে সুতির কাপড় ভিজিয়ে এটি ঘামাচির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি দিনে চার থেকে পাঁচবার করুন।
বেকিং সোডা
১ কাপ ঠাণ্ডা জলে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় এতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন ও ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান।
ঘৃতকুমারি
ঘৃতকুমারি বা অ্যালোভেরার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রাখুন না শুকানো পর্যন্ত। এরপর ঠাণ্ডা জলে স্নান করে নিন।