আবুল কালাম আজাদ
শঙ্কর ঘোষ, কৃষ্ণনগর, নদীয়া ##
11ই নভেম্বর জাতীয় শিক্ষাদিবস আমরা সবাই জানি,
আবুল কালাম আজাদকে জাতীয় শিক্ষক বলে মানি।
1888 সালের 11ই নভেম্বর জন্ম নিলেন তিনি,
1958 সালের 22শে ফেব্রুয়ারি মৃত্যু নিল ছিনি।
তিনি ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্ব কনিষ্ঠ সভাপতি,
স্বাধীন ভারতে শিক্ষাবিস্তারে ছিল তাঁর উজ্জ্বল গতি।
আবুল কালাম আজাদ পড়াশুনায় ছিলেন মেধাবী অতি,
পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনে ছিলনা তাঁর সম্মতি।
আবুল কালাম আজাদ ইসলামি ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন,
তরুণ বয়সে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দিলেন।
হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির প্রবক্তা ছিলেন তিনি,
আজাদ এই ছদ্মনামটি গ্রহণ করেন যিনি।
তিনি ছিলেন পিতা মাতার এক সুযোগ্য সন্তান,
1992 সালে পান ভারতরত্ন ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান।
মৌলানা আজাদ উর্দু ভাষায় কবিতা প্রবন্ধ লেখেন,
ভারতে খিলাফৎ আন্দোলনের নেতৃত্ব একদা তিনি পেলেন।
তিনি গান্ধীজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন,
1931 সালে ধারাসন সত্যাগ্রহের দায়িত্ব কাঁধে নেন।
ভারতছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পান,
ব্রিটিশ সরকারের হাতে বন্দী হয়ে কারাগারে যান।
জুলাইখা বেগম মৃত্যু পর্যন্ত ছিলেন তাঁর পাশে,
তবুও হৃদরোগ একদিন এলো তাঁর জীবন নাশে।
আজাদ বলেন জাতীয়তাবাদের ভিত্তি হবে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্য,
কোনোদিন চাননি তিনি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে আসুক অনৈক্য।
আজাদ উর্দু ফারসি হিন্দি ইংরাজি ভাষা রপ্ত করেন,
জাতীয়তাবাদী মতামত প্রকাশে উর্দুতে আল-হিলালে কলম ধরেন।
সরকার আল-হিলাল পত্রিকা নিষিদ্ধ করেন 1914 সালে,
পরে আজাদ আল-বালাগ প্রকাশ করেন একই তালে।
সরকার আল-বালাগের উদ্দেশ্য বুঝে নিষিদ্ধ করে দেয়,
আজাদকে কলকাতা থেকে বহিষ্কার করে রাঁচিতে নেয়।
গান্ধীজির ঘনিষ্ঠ হয়েও জওহরলাল আজাদের প্রিয় হন,
আত্মজীবনী ইন্ডিয়া উইন্স ফ্রিডমের উৎসর্গে জওহরলাল রন।
শ্রীঅরবিন্দ শ্রীশ্যামসুন্দর চক্রবর্তী আজাদকে বিপ্লবের পথ দেখান,
ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনে তারপর পা মেলান।
জামালউদ্দীন আফগানির প্যান ইসলামি মতবাদে আকৃষ্ট হন,
সৈয়দ আহম্মদের আলীগড় চিন্তাধারা পাল্টায় তাঁর মন।
মৌলানা আজাদ ছিলেন কবি লেখক সাংবাদিক রাজনীতিবিদ,
তিনি ছিলেন ভারতের একজন মহান দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ।
ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হয়ে অবৈতনিক শিক্ষালয় চালু করেন,
ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ইউনিভারসিটি গ্রান্ড কমিশন আজাদই ভারতে গড়েন।
তাঁর মতো মহান শিক্ষামন্ত্রী ছিল আজ দরকার,
আমাদের শিক্ষার মান নামিয়েছে নিচে দেশের সরকার।
এই মহান দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদকে জানাই শতকোটি প্রণাম,
ভুলিবনা কোনোদিন মৌলানা আজাদ শাশ্বত এই নাম।