বেকার ছেলের চিঠি
বিশ্বজিৎ হালদার, শিব নারায়ন পুর, নদীয়া ##
ছবির মত কিছু সংলাপ
যন্ত্রনাকে তীব্র করে!
অনাবিল রোদ্রের ভাঁজে দিনের কুসুম আড়াল হয়,
আর বেকারত্বের ঘাম ভিজিয়ে দেয় সার্টিফিকেট!!
কলেজ পাশ করা গ্রাজুয়েট ডিগ্রিটা
আমার কাজে লাগলো না;
স্কুলে প্রথম হওয়া বইপাগল ছেলেটি,
গোলাপি আলোর উঠানে বই এর করিডোরে,
রাত জাপন নিয়মিত,
চোখে আজ মোটা পাওয়ারের চশমা।
চাষীর শিক্ষিত ছেলে শেখেনি চাষ
মেধার কোন দাম নেই,
নোটের গন্ধে ফুসফুসে প্রদাহ
কলম ধরা হাতে সিগারেট!
বেকারত্বের দাবানলে পুড়ে ছাই হচ্ছে,
অংকে ১০০ পাওয়া হাজার দলিল
না না সরকারি কিছু কাগজ!
জানো মা হিয়ার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, পাত্র স্কুল মাস্টার; পাগলি মেয়েটা বলতে পারেনি
বেকার ছেলেটাকে ভালোবাসে।
পাশের বাড়ির কোনরকম মাধ্যমিক পাস ছেলেটি
পুলিশের চাকরি করে।
বাবাকে বলেছিলাম নতুন একটা ফ্রম এসেছে
আমাকে 200 টাকা দেবে?
বাবা বলেছিল না আমি আর পয়সা দিতে পারব না;
আলমারিতো ভরে গেছে অ্যাপ্লিকেশনে!
আমার আছে রেলগাড়ি!
মরচে পড়া টেবিল ল্যাম্পটা সব কিছুর সাক্ষী;
দুর্ভাগ্যের নিপুণ পরিহাসে হাজার সুইসাইড নোট!
পৃথিবীর কোন ডাক পিয়ন তার ঠিকানা পাবে না!