সাধ ও সাধ্যের উপকারী লাউ

কমবেশি অনেকই আছেন যারা লাউয়ের তরকারি পছন্দ করেন। হোক তা মুগ ডাল দিয়ে লাউ বা চিংড়ি দিয়ে। এমন কি বাঙালির পাতে লাউ শাকের জনপ্রিয়তারও কমতি নেই। শুধু খেতেই নয়, লাউ স্বাস্থ্যের জন্য জন্যও অনেক উপকারী।

ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, এমন হাজারো রোগের দাওয়াই লাউ। তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত লাউ খাওয়ার অভ্যেস করা উচিত।

খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে লাউয়ে। আর প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। তাই শরীরের ওজন কমাতে খুব ভালো কাজ করে এই সবজি। সকালে খালিপেটে কাঁচা লাউয়ের রস খেলে এক মাসে প্রায় ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমে।

লাউ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুবই উপকারী। বিশেষত যাদের সুগারের সমস্যা রয়েছে, তাদের গলা ঘনঘন শুকিয়ে আসে। এক্ষেত্রে নিয়মিত লাউ খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

এছাড়াও রক্তের কোলেস্টেরল কমতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে লাউ। কারণ, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। তাই হার্টের জন্য লাউ অত্যন্ত উপকারী। এমনকি জন্ডিস ও কিডনির সমস্যায় লাউ খেলে উপকার পাওয়া যায়।

লাউয়ে দ্রবণীয়, অদ্রবণীয় ফাইবার ও জল রয়েছে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। আর কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটিকে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও যাদের পাইলসের সমস্যা আছে, তাদের জন্য লাউ আদর্শ খাবার।

লাউয়ের ৯৬ শতাংশ উপাদানই জল। তাই ঘাম, ডায়েরিয়া, হাই ব্লাড প্রেশার জলের অভাব পূরণ করে।

অনেকেরই ইউরিনে ইনফেকশন হয়। এক্ষেত্রে লাউ খুব উপকারী এবং শরীরও ঠান্ডা রাখে। আর হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে লাউয়ের বিকল্প খুব কম।

এদিকে লাউয়ের পাতারও অনেকে গুণ রয়েছে। এর তরকারি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে এবং ইনসোমনিয়া বা ঘুমে সমস্যার সমাধান করে। লাউ দেহের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার মধ্যেমে পেট পরিষ্কার রাখে। আর পেট পরিস্কার থাকলে মানুষের ত্বকও ভাল থাকে। ব্রণের সমস্যা দূর হয় কয়েকদিনেই। এছাড়াও লাউ ত্বকের তৈলাক্ত দূর করে। তাই যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা নিয়মিত লাউ খেলে উপকার পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =