ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভিনিগার !
ভিনিগার বা সিরকা একজাতীয় তরল পদার্থ। সাধারণত বিভিন্ন রান্নায় এর ব্যবহার দেখা যায়। মদ কিংবা আপেলের রস দিয়ে উৎপন্ন এলকোহল, বিভিন্ন ধরণের ফলের রস ইত্যাদি জাতীয় তরল পদার্থ ভিনিগার তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এসব তরল পদার্থে ইথানল দ্রবীভূত হয়ে ভিনিগারে রূপান্তরিত করে। এছাড়া নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করেও এটি প্রস্তুত করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে সনাতনী ধারায় খেজুর থেকেও সরাসরি ভিনিগার প্রস্তুত করা হয়।
ভিনিগারের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ওজন কমাতে কিংবা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে ভিনিগার খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের দেশে সাধারণত সাদা ভিনিগার বেশি ব্যবহার করা হয়। ১ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগারে ০.৯ গ্রাম শর্করা, ০.৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.১ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
ভিনিগারের উপকারীতা:-
গবেষণায় দেখা গেছে, শর্করা জাতীয় খাবারের সঙ্গে ভিনেগার খেলে রক্তে শর্করার প্রবেশ কিছুটা ধীর হয়। ভিনিগার পরিপাকের কিছু এনজাইমকে রোধ করে যে সব এনজাইমের কাজ হলো শ্বেতসারকে শর্করার ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত করা। ২টেবিল চামচ ভিনিগার আধ কাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সকালে রক্তে শর্করা প্রায় ৪-৬ শতাংশ কমে। তাই ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস উপকারে আসবে।
নিয়মিত ভিনিগার খাওয়ার অভ্যাস শরীরের বাড়তি মেদ বা ওজন কমানোর পদ্ধতি কিছুটা সহজ করে দেয়। সালাডের সঙ্গে মেয়োনিজের বদলে ভিনিগার খেলে দ্রুত ওজন কমে।
ভিনিগার শরীরের রক্ত প্রবাহ সচল রাখে এবং রক্তে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায়। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্লান্তি দূর করা এবং শরীরের বিভিন্ন স্বাভাবিক কার্যাবলীকে সচল রাখতে সহায়তা করে ভিনিগার। নিয়মিত ভিনিগার খেলে শরীর চনমনে থাকে এবং ক্লান্তি ভাব কমে যায়।
যাদের কিছু খেলেই হজমে সমস্যা হয় যাদের তাদের জন্য ভিনিগার বেশ উপকারী। ভিনিগার হজমে সহায়তা করে। নিয়মিত সালাডের সঙ্গে ভিনিগার খেলে হজম ক্ষমতাবৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও ভিনিগার খাবার থেকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমাতে সমস্যা হলে বা অনিদ্রায় ভুগলে ভিনিগার ব্যবহারে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে গরম জলের সঙ্গে ভিনিগার মিশিয়ে সেই জলে স্নান করলে শরীরের স্নায়ুর উত্তেজনা কমে আসে। মন শিথিল হয় এবং প্রশান্তি লাগে।
এত কিছুর পরে বলাই যায় নিয়মিত ভিনিগার খান। ভালো থাকুন।