নতুন ধরনের মাস্ক বানিয়ে গুগলের স্বীকৃতি মেমারির দিগন্তিকার
করোনা থেকে বাঁচতে মাস্কে নতুন পথ দেখাল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মেমারির ছাত্রী দিগন্তিকা বসু তৈরি করেছে একটি বিশেষ মাস্ক। টেক জায়ান্ট গুগলের আর্টস অ্যান্ড কালচারে জায়গা করে নিয়েছে দিগন্তিকা বসুর নিজের হাতে তৈরি করা এ মাস্ক। তার বানানো মাস্কটি দুনিয়ার সেরা নকশার একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধকারী এই বিশেষ মাস্ক গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচারের ‘অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইন’ বিভাগের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে। গুগলের আর্টস অ্যান্ড কালচারে সাধারণত বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানা বিষয়ে উৎসাহমূলক নকশার ছবি বা ভিডিও চাওয়া হয়। সেই ভাবনাগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে এ প্ল্যাটফর্ম। সেখানে এখন দ্বাদশে পড়ুয়ার নাম আছে। দিগন্তিকা বসু পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট–২-এর দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই ১১টি উদ্ভাবনের জন্য ১৭ বছর বয়সী দিগন্তিকা বসু বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে।
গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার একটি অনলাইন জাদুঘর। সেখানে স্থান করে নেয় বিশ্বের সেরা সাংস্কৃতিক নিদর্শন থেকে শিল্পকর্ম ও সৃষ্টিগুলো। এখানে এক ক্লিকে দেখে নেওয়া যায় পুরো বিশ্বের নিদর্শন। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ভার্চ্যুয়াল জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকে নানা শিল্পকলা স্থান পেয়েছে সেখানে। এবার সেখানেই ঠাঁই পেল দিগন্তিকার তৈরি অভিনব এই মাস্ক।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর মাস্কের ব্যবহার আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে দিগন্তিকার তৈরি বিশেষ মাস্ক অনন্য। এটি ধুলোবালি থেকে মুক্ত রাখবে, ভাইরাস প্রতিরোধ করবে, একই সঙ্গে ইনহেলারের কাজও করবে। দিগন্তিকা মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই বিশেষ মাস্ক তৈরি করেছে, যা সহজে ও কম খরচে করোনা মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
দিগন্তিকার মাস্কের বর্ণনা দিয়েছে গুগল। নেতিবাচক আয়নগুলো যখন বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন তারা বেশির ভাগ ভাইরাসকে ধ্বংস করে দেয়। সম্পূর্ণ ভাইরাস ধ্বংস নিশ্চিত করতে সাবান ও জলের মিশ্রণ দুটি রাসায়নিক ফিল্টারে যুক্ত করা হয়েছে, যা গৃহীত বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। মুম্বাইয়ের মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সলেন্সের সহায়তায় দিগন্তিকা এ মাস্ক তৈরি করেছে। গুগল জানিয়েছে, ইতিমধ্যে এই মাস্কের বিষয়ে সাধুবাদ জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ বিশেষ মাস্ক দ্রুত ভারতের বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। এমন সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দিগন্তিকা নিজেও।
দারুণ খবর