ব্রণ প্রতিরোধের কিছু উপায়
ব্রণ বা পিম্পল এখন বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছেই মাথা ব্যথার কারণ। কিন্তু ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণে ব্রণ অনেকটাই কামানো বা প্রতিরোধ করা যায়। মধু আর দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পিম্পলে লাগান এবং সকালে গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরপর দুই সপ্তাহ এই পেস্ট পিম্পলে লাগান, পিম্পল বা ব্রণ আর থাকবে না।
১০০ গ্রাম আলু চটকে নিয়ে ৫ ফোঁটা গ্লিসারিন, ৫ মিলি গোলাপজল মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করুন। স্নানের আগে মুখে এই প্যাকটি ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
১০ মিলি গ্লিসারিন, ১০ মিলি গোলাপজল এবং ৫মিলি লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। মুখের যে জায়গায় প্রয়োজন সেখানে স্নানের এক ঘণ্টা আগে প্যাকটি লাগান এবং ম্যাসাজ করুন আলতোভাবে।
পেঁপের রস পিম্পলের জন্য খুবই উপকারী। পিম্পলের উপর পেঁপের রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।
রসুন পিম্পলের জন্য খুবই উপকারী। রসুনের আটটি কোয়া ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে চোখের অংশটা বাদ দিয়ে মুখে লাগান। পনের মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং পরে গরম কাপড় দিয়ে এটা মুখ থেকে মুছে ফেলতে হবে।
আপেল কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে লাগালে দারুণ কাজে আসে। মুখে ১৫-২০ মিনিট এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হাল্কা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
পিম্পল চলে যাওয়ার পরমুখে যে দাগ থেকে যায় সেখানে চালের গুঁড়া, দই, এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট করে লাগান। হাল্কাভাবে ঘষুন এবং ১০ মিনিট পর ধীরে ধীরে এই প্যাকটি মুখ থেকে উঠিয়ে ফেলুন।
মেথি ভালো করে পেস্ট করে নিয়ে প্রতি রাতে মুখে লাগান এবং ১০-১৫ মিনিট রাখুন। কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে যে কোনো ধরণের দাগ, পিম্পল, ব্ল্যাকহেড,বলিরেখা ইত্যাদি থেকে দূরে রাখে।
পুঁদিনা পাতার রস প্রতি রাতে মুখে লাগান। এতে মুখের যে কোনো দাগ এবং পিম্পলের দাগ দূর হবে। সব কিছুর পরেও হাতকে মুখ থেকে দূরে রাখুন। এতে আপনার ত্বকের কোনোই লাভ হবে না। আপনার যদি খুশকির সমস্যা কিংবা তৈলাক্ত ত্বক থাকে তাহলে এগুলোকে পরিষ্কার রাখুন। যদি আপনার তৈলাক্ত চুল মুখে লাগে তা হলে এটি আরো বেশি তৈলাক্ত হয় এবং খুশকি পিম্পলের সৃষ্টি করে নিশ্চিতভাবেই। দিনে অন্তত তিনবার মুখ ভালো কোনো ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। ফলমূল,শাকসবজি বেশি করে খাবার চেষ্টা করুন। রিল্যাক্স থাকুন এবং দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমান।